PNB: Agartala, Manabendra Nag, Sep 10, 2016: কারুর করুণা নয়, ত্রিপুরা বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার পদে সাংবিধানিক ও আইন সঙ্গতভাবেই স্বীকৃতি পাবেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা দিবা চন্দ্র রাঙ্খল। আজ আগরতলায় প্রদেশ তৃনমূল কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন, তৃনমূল বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ তৃনমূলের নেতা দীপক মজুমদার।
বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বলেন, প্র্যাক্টিস এন্ড প্রসিডিওর পার্লামেন্ট বইয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তু তুলে ধরেন এবং বিরোধী দল ও দলনেতার স্বীকৃতি সম্পর্কে যে ত্রিপুরা অ্যাক্ট নং ৩ অব ১৯৭২ পাশ হয়েছিল, সেসম্পর্কে তিনি আলোকপাত করেন। এছাড়া, ত্রিপুরা বিধানসভায় থেকে ১৯৭২-২০০৮ পর্যন্ত এই সংক্রান্ত যে আইন পাশ হয়েছে, সেই আইনকে অবজ্ঞা করে কোন অবস্থাতেই ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ কোন বিতর্কিত কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, কেননা ২০০৮ সনে বিধানসভার অধ্যক্ষ ছিলেন বর্তমান অধ্যক্ষ রমেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ। সেজন্যই বিরোধী দল ও দলনেতার স্বীকৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে আইন মোতাবেক স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে।
পাশাপাশি, সুদীপ রায়বর্মন বলেন, সি পি আই (এম) আদিবাসী বিদ্বেষী, সেকারণে দিবাচন্দ্র রাঙ্খলকে বিরোধী দলনেতার পদ দিতে নারাজ। সেজন্যই কৌশল করে অধ্যক্ষকে স্বৈরাতান্ত্রিক পথে পরিচালিত করতে চায় মেলারমাঠের সি পি আই (এম)। সি পি আই (এম) দলের রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে, বিধানসভার অধ্যক্ষ পদের চেয়ারটির মর্যাদা রক্ষা করতে অধ্যক্ষকে আহ্বান জানান তিনি।