Pro-Mass News Bureau: Nov 23, 2015
রবিবার গোয়ায় ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (আই এফ এফ আই) ২০১৫-র উত্তর-পূর্ব বিভাগে ‘উত্তর-পূর্ব থেকে নবদিগন্ত’-র উদ্বোধন করলেন চলচ্চিত্র উৎসবের অধিকর্তা শ্রী সি সেনটিল রাজন এবং গোয়া এন্টারটেইনমেন্ট সোসাইটি-র সিইও শ্রী অমিয় অভয়াঙ্কর। ‘উত্তর-পূর্ব থেকে নবদিগন্ত’ বিভাগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল উদীয়মান পরিচালক এম মনিরারাম পরিচালিত ‘সন্ধিক্ষণ’ প্রদর্শনীর মাধ্যমে।
এ উপলক্ষে ভাষণ দিতে গিয়ে শ্রী সি সেনটিল রাজন বলেন, আমাদের দেশে উত্তর-পূর্বের জন্য একটি বিশেষ জায়গা রয়েছে। এই উৎসব ভারতীয় পরিচালকদের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের সামনে উপস্থাপনার জন্য একটি মঞ্চের সংস্থান করেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন অংশকে এই উৎসবে সমবেত করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, এই বিভাগে প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক আরিবাম শ্যাম শর্মার উপর একটি বিশেষ রেট্রোস্পেকটিভ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। উৎসবের অধিকর্তা আরো জানান, এই বিভাগটি উত্তর-পূর্বের তরুন পরিচালকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

উদ্বোধনী পর্বে মণিপুর থেকে আগত লাইলুই নৃত্যগোষ্ঠির উপস্থাপনা দর্শকদের অভিভূত করে। ‘উত্তর-পূর্ব থেকে নবদিগন্ত’ বিভাগটি দু’টি ভাগে বিভক্ত। প্রথম বিভাগে থাকবে ‘বিশিষ্ট পরিচালক আরিবাম শ্যাম শর্মার উপর একটি বিশেষ রেট্রোস্পেকটিভ’। আরিবাম শ্যাম শর্মা মণিপুরের একজন প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক, অভিনেতা ও সংগীতকার। তিনি পদ্মশ্রী সহ ১৫-টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এবং ড: ভি শান্তারাম আজীবন সুকৃতি পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন। তাঁর পরিচালিত ছবি ‘ইমাংগি নিংথেম’ (আমার পুত্র, আমার অমূল্য সম্পদ) ১৯৮২ সালে গ্রাঁ প্রি খেতাব লাভ করে। ১৯৯১-এ কান চলচ্চিত্র উৎসবে অফিসিয়াল বিভাগে প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয় ‘ইশানৌ’ (পছন্দের মানুষ)। তাঁর পরিচালিত ‘সাংগাই’ (মণিপুরের নৃত্যরত হরিণ) ছবিটিকে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট ১৯৮৯ সালের অনবদ্য চলচ্চিত্র হিসেবে ঘোষণা করে।
দ্বিতীয় বিভাগে প্রদর্শিত হবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে নতুন প্রজন্মের পরিচালকদের ছবি। এই বিভাগের চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে সাংগে দোরজি থংদক, নেপোলিয়ন আর জেড থাং, কিভিনি শোহে, ওয়াংলেন খুনদংবাম, দোমিনিক মেহাম সাংমা, তিয়াইনলা জমির এবং সঞ্জীব দাস পরিচালিত ছবি।
উদ্বোধনের পর উৎসব চত্বরের আইএফএফআই মিডিয়া সেন্টারে আরিবাম শ্যাম শর্মা, এম মণিরাম, মঞ্জু বোরা এবং যদুমণি দত্ত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। কিংবদন্তি মণিপুরি চিত্র পরিচালক আরিবাম শ্যাম শর্মা বলেন, উত্তর-পূর্বে চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে আর্থিক ব্যয়ভার একটি বড় সমস্যা। এজন্য উত্তর-পূর্বের চলচ্চিত্র শিল্পের স্থায়িত্ব জন্য আর্থিক সহায়তা দরকার। উত্তর-পূর্বের পরিচালকদের আর্থিক সহায়তা দেবার ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা নিতে হবে, অবশ্যই বড় ভূমিকা নিতে হবে সরকারকে।