Pro-MASS News Bureau: Dec 17, 2015:
ভারতীয় অর্থনীতির চারটি প্রধান প্রধান ক্ষেত্র যথা কৃষি, জল, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র এবং স্বাস্থ্যের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রভাবজনিত প্রতিক্রিয়া মূল্যায়ন করতে ভারতের চারটি স্পর্শকাতর জলবায়ু অঞ্চল – হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল, পশ্চিম ঘাট, উপকূল এলাকা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ‘ইন্ডিয়ান নেটওয়ার্ক অব ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাসেসমেন্ট’ (আই এন সি সি এ) একটি সমীক্ষা করেছে। এই সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে “ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ইন্ডিয়া: এ ফোর ইন্টু ফোর অ্যাসেসমেন্ট-এ সেক্টোরাল এন্ড রিজিওন্যাল অ্যানালাইসিস ফর ২০৩০” শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে। সার্বিক উষ্ণায়ন, বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবর্তনশীল জলস্তর, অরণ্য এলাকার বিন্যাসে পরিবর্তন, নতুন নতুন এলাকায় ম্যালেরিয়ার বিস্তার ও দীর্ঘমেয়াদী সময়ের জন্য এই রোগের সংক্রমণ ও সংবহনজনিত হুমকি যা মানুষের জীবনে প্রতিকূল প্রভাব ফেলতে পারে, এই সব বিষয় গৃহীত এই সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়েছে। বুধবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক তথা ডোনার মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী ডা: জিতেন্দ্র সিং এতথ্য জানিয়েছেন।
ডা: জিতেন্দ্র সিং বলেন, রিপোর্টটিতে ১৯৭০-এর দশকের পরিপ্রেক্ষিতে ২০৩০-এর দশকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল তাপমাত্রা ১.৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ২.১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এবং এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের হার ০.৩ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতা অনুযায়ী দেখানো হয়েছে। রাত্রি-কালীন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে যার ফলে চালের উৎপাদন কমে যাবে এবং এর ফলে জনস্বাস্থ্যের উপর পুষ্টিগত দিক থেকে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। ভূমিক্ষয়ের ফলে ভূমিধসের ঘটনা বৃদ্ধি পেতে পারে যার ফলে চা উৎপাদন সহ কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রিপোর্টটিতে এও দেখানো হয়েছে যে, বছরে ৭ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত ম্যালেরিয়া সংক্রমনের সম্ভাবনা থাকে।
ডোনার মন্ত্রী আর বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিষয়গুলি বিভিন্ন ধরনের সমস্যাকে সুসংহত কর্মসূচি রূপায়নের আওতায় এনে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নানাবিধ প্রকল্পের মাধ্যমে মোকবিলা করা হয়। তিনি বলেন, সরকার জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সমস্যাগুলি মোকাবিলা করতে কেন্দ্রীয় সরকার ২০০৮-এর জুনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা’ (এন এ পি পি সি সি) প্রণয়ন করেছে।
ডা: জিতেন্দ্র সিং বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি সহ দেশের ৩২টি রাজ্য/ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এন এ পি সি সি-র লক্ষ্যকে সামনে রেখে ‘জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রাজ্য পরিকল্পনা’ প্রস্তুত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সুনির্দিষ্ট দায়ভার, বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা এবং অন্যান্য অগ্রাধিকারের নিরিখে তা নির্ধারন করা হচ্ছে।