Pro-MASS News Bureau: Dec 28, 2015:
২০১৫-১৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশকালে অর্থমন্ত্রী শ্রী অরুণ জেটলি ঘোষণা করেছিলেন যে পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার পন্থা-পদ্ধতি খুঁটিয়ে দেখা হবে। তাঁর এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এক বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয় ডঃ বিজয় কেলকারের নেতৃত্বে।
সরকার গঠিত এই কমিটি তাদের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পেশ করেছে। কমিটির রিপোর্টের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে অর্থ মন্ত্রকের http://finmin.nic.in/reports/ReportRevisitingRevitalisingPPPModel.pdf – এই ওয়েবসাইটটিতে। উল্লেখ্য, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ ভারতে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও প্রসারের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয়, এর ফলে পরিকাঠামোর আশানুরূপ প্রসার ও সম্প্রসারণের কাজটিও ত্বরান্বিত হয়।
সরকারি-বেসরকারি অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম বিপণন ব্যবস্থা রয়েছে ভারতে। মূলত, এই কাজে যুক্ত থাকার ফলে যে প্রভূত অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে তার নিরিখেই ভারত বর্তমানে এই বিশেষ স্থানটি নিজের দখলে নিয়ে এসেছে। যেহেতু সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের বিষয়টি ভারতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিশেষভাবে জরুরি সেই কারণেই ভারতের সামনে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ-সুবিধা উপস্থিত হয়েছে। কিন্তু সময়ে সময়ে এই অংশীদারিত্বের বিষয়টির পর্যালোচনা একান্ত জরুরি। এই লক্ষ্যেই গঠন করা হয় এই বিশেষ কমিটিটি। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব সম্পর্কে ভারত যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে তাতে প্রশাসনিক পরিচালন, প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালন এবং উৎপাদন ক্ষমতার প্রসার – এই তিনটি মূল স্তম্ভকে আরও শক্তিশালী করে তোলার ক্ষমতা অর্জন করাও সম্ভব হয়েছে।
বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে গড়ে তোলা প্রকল্পগুলি চলতে থাকে ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, এই ধরনের প্রকল্পগুলি বিভিন্ন ঝুঁকির কারণে অনেক ক্ষেত্রেই নানা ধরনের বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়ে পড়ে। সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের সময় এই বিষয়গুলির দিকে অনেক সময়ই নজর দেওয়া হয় না। এই কারণেই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের বিষয়টি চূড়ান্ত করার ব্যাপারে সরকার মনস্থির করে। আর এই কারণেই পুরো বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখতে ডঃ বিজয় কেলকারের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয় এই বিশেষ কমিটি।