ProMASS News Bureau: Agartala: Manabendra Nag: Sep 06, 2016: ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স ও এক্সিম ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া আয়োজিত শিল্প উদ্যোগীদের নিয়ে আগরতলা প্রজ্ঞাভবনে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার মূল বিষয় ছিল আন্তর্জাতিক স্তরে এরাজ্যের মূল্যবান বাঁশ শিল্প, রাবার শিল্প সহ আনারস, কাঁঠাল ইত্যাদি রপ্তানি পণ্য বাংলাদেশ ও অন্যদেশ থেকে আমদানি করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তায়র বিষয় এবং শিল্পস্থাপনের জন্য কী কী পরিকাঠামো প্রয়োজন ইত্যাদি বিষয়গুলি কর্মশালায় তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহা। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য শিল্পবাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা ভি জি জেনার, বাংলাদেশের যুগ্ম কমিশনার শেখাওয়াত হোসেন, ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের আঞ্চলিক (গৌহাটি) যুগ্ম অধিকর্তা ই এস পন্ডিত, এমএসএমই-র উপ-অধিকর্তা আর কে গিরি।

কর্মশালায় এক্সিম ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক অধিকর্তা আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত বিষয় ও শিল্পস্থাপনের দিক সহ এরাজ্যের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের সম্ভাবনাময় দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করেন। অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহা বলেন, রাজ্যের প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষত বাঁশ, আনারস, রাবার, কাঁঠাল-এর গুণগত মান উৎকৃষ্ট হলেও বিভিন্ন ধরনের পরিকাঠামোর অভাবে এইসব শিল্পগুলি আন্তর্জাতিকভাবে বাজারজাত করা যায় নি। কিন্তু বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মজবুত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে এবং ব্রডগেজ ট্রেন চালু হওয়ার ফলে সহজে পচনশীল কৃষিজ পণ্য এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ খুব শীঘ্রই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অন্তর্গত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রাজ্যে শিল্পের ভবিষ্যৎ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ নিয়ে কর্মশালায় আলোচনা করেন আর কে গিরি। তিনি প্রাকৃতিক সম্পদের পাশাপাশি রাজ্যে ইকো-ট্যুরিজম শিল্পের বিকাশের প্রয়োজনীয়তার উপর তিনি জোর দেন। রাজ্যের শিল্পবাণিজ্য দপ্তরের উপ-অধিকর্তা স্বপ্না দেবনাথ ইন্দো-বাংলার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং এরাজ্যে শিল্পস্থাপনের পরিকাঠামো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়া, ল্যান্ড কাস্টমস্ (এলসি) এবং ভারত-বাংলা সীমান্ত হাটের বর্তমান সুবিধাসমূহের উপরও তিনি আলোকপাত করেন। সীমান্ত হাটের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করে তিনি বলেন, এইসব হাটগুলি দুদেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক মানোন্নয়নের পাশাপাশি দুদেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। এলসি-গুলির চাইতে সীমান্ত হাটে বাৎসরিক লেনদেন পরিমাণ বেশি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শেখাওয়াত হোসেন বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরেই সুসম্পর্ক রয়েছে। দুদেশের প্রধানমন্ত্রী – নরেন্দ্র মোদি এবং শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই সম্পর্ক দৃঢ়তর হয়েছে। দুদেশের এই সম্পর্কের প্রভাব ত্রিপুরায়ও পরিলক্ষিত হয়েছে। আগামী দিনে ট্রেন চালু হলে এবং ফেণী নদীর উপর ব্রীজ তৈরি হয়ে, ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিশেষত আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি ত্রিপুরার আনারস ও বাঁশের পৃথিবী বিখ্যাত গুনমানের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্রম উন্নতির ফলে রাজ্যের এই শিল্পগুলি সহজে আন্তর্জাতিক স্তরে পণ্য বাজারজাত করা সম্ভব হবে।