Verbal duals between writers and ministers – Religious or Ideological Intolerance?
New Delhi: Oct 15
বহুত্ববাদের প্রতি সহিংস অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লেখক-সাহিত্যিকদের প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। এবার সাহিত্য একাডেমির পুরস্কার ফেরালেন রাজস্থানের সাহিত্যিক নন্দ ভরদ্বাজ।
এরই মাঝে পুরস্কার ফেরানোর ঘটনার সমালোচনা করলেন অরুন জেটলি, নির্মলা সীতারামন এবং রবিশংকর।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবার সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের লড়াই আরও তীব্র ও তীক্ষ্ণ হবে।
সাহিত্য একাডেমির সেক্রেটারিকে একটি চিঠি লিখে সাহিত্য একাডেমির পুরস্কার ফেরানোর কথা জানিয়েছেন নন্দ ভরদ্বাজ।
তিনি ২০০৪ সালে পুরস্কারের সাথে পাওয়া ৫০,০০০ টাকার চেক এবং ‘প্রতীক চিহ্ন’ও ফেরত পাঠিয়েছেন। লেখকদের অধিকার রক্ষা করতে সাহিত্য একাডেমি ব্যর্থ হওয়ার প্রতিবাদে ভরদ্বাজ একাডেমি পুরস্কার ফেরত দিচ্ছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় এবং সৃষ্টিশীলতার ক্ষেত্রে অধুনা অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। নয়নতার সেহগাল এবং অশোক বাজপেয়ি সহ অন্তত ২৯ জন লেখক এই পুরস্কার ইতিমধ্যেই ফেরত দিয়েছেন এবং পাঁচজন লেখক একাডেমির আধিকারিক পদে ইস্তফা দিয়েছেন।
লেখকদের পুরস্কার ফেরত দেওয়ার প্রেক্ষিতে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গীর কিছুটা আঁচ পাওয়া গেছে মোদি মন্ত্রিসভার তিন মন্ত্রী – অরুন জেটলি, নির্মলা সীতারামন ও রবিশংকরের পাল্টা জবাবে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি ফেসবুকে একটি পোষ্ট করে পুরস্কার ফেরত দেওয়ায় লেখকদের এক হাত নিয়েছেন। ফেসবুকে জেটলি লেখকদের পুরস্কার ফেরত দেওয়ার বিষয়টিকে আর্দশগত অসহিষ্ণুতা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
অতীতে ভারত সরকারে যেসব লেখক-লেখিকাদের স্বীকৃতি দিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই বাম মতাদর্শে বিশ্বাসী কিংবা নেহেরুপন্থী ছিলেন।
এঁরা অনেকেই প্রধানমন্ত্রী মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেইসময় এইসব সাহিত্যিকদের মধ্যে অনেকেই মোদির সমালোচনায় মুখর ছিলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এঁদের মধ্যে ক’জন জরুরী অবস্থার কিংবা ১৯৮৪ সালে শিখ-বিরোধি দাঙ্গার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন?
জেটলি এও বলেন যে, দাদরি ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয় ঘটনা। একই সুরে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর সাংবাদিকদের এপ্রসংগে পাল্টা জিজ্ঞেস করেন, দেশে তো অনেক বড় বড় ঘটনা ঘটেছে, সেসময় তো কেউ পুস্কার ফেরত দিলেন না কেন?
পুরস্কার ফেরত দেওয়ার ঘটনায় সাহিত্যিকদের সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আকাশবাণীতে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দাদরি ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকরারকে দায়ি করা এবং পুরস্কার ফেরত দেওয়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।















