ProMASS News Bureau: Aug 25: 2016: সারা বিশ্বেই জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়সমূহ নিয়ে দেশ-বিদেশের পরিবেশ বিজ্ঞানীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তৈরি হচ্ছে নানা ধরণের নীতি নির্দেশিকা। প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির বাড়তি ব্যবহারে পরিবেশে দূষণ ক্রমাগত বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
পরিবেশ-পরিমন্ডলের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে গত ২৩ শে আগষ্ট আগরতলার সুকান্ত অডিটরিয়ামে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা সহ পশ্চিম ত্রিপুরা ও খোয়াই জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ECO Club গুলিকে নিয়ে সুকান্ত অডিটরিয়ামে জাতীয় পরিবেশ সচেতনতামূলক আলোচনা ও মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এই সভার আয়োজন করে ভারত সরকারের পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক দপ্তর এবং ত্রিপুরা রাজ্য দূষন নিয়ন্ত্রন পর্ষদ। জাতীয় পরিবেশ সচেতনামূলক কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে এবারের আলোচনার মূল ভাবনা ছিল “স্বচ্ছ ভারত অভিযান, গঙ্গা-পুনরুজ্জীবন, নদীবক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা”। এই আলোচ্য বিষয়গুলির বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন এন জি ও এবং ইকো ক্লাব কর্তৃক প্রকল্প দাখিল করার বিভিন্ন নিয়মাবলী ও সুবিধার উপরও আলোকপাত করা হয়েছে।

আর্থিক অনুদান, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কী কী করনীয় এবং তৎসঙ্গে প্রকল্প দাখিল করার নিয়মনীতি ও যোগ্যতা বিষয়ক সার্বিকদিকগুলি আলোচনা ও মত বিনিময় করেন রাজ্য দূষন নিয়ন্ত্রন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। ভারত সরকারের পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক দপ্তরের আর্থিক অনুদানে এবং রাজ্যদূষন নিয়ন্ত্রন পর্ষদের তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্পগুলির কাজ চলবে আগামী ১৭ অক্টোবর, ২০১৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭ পর্যন্ত। রাজ্য দূষন নিয়ন্ত্রন পর্ষদ আয়োজিত এই আলোচনায় পর্ষদের চেয়ারম্যান মিহির দেব বলেন, আদিম যুগের মানব জাতির জীবনের পরিবর্তন ঘটিয়ে বিজ্ঞান ধারাবাহিকভাবে মানব জীবনের উত্তরণ ঘটিয়েছে এবং আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক যুগের সূচনা ঘটিয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে খাদ্যশিল্প, বস্ত্রশিল্প ও ওষুধশিল্প ইত্যাদির ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে।
কিন্তু বর্তমানে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নির্মল পরিবেশের অভাবে মানব সভ্যতা বিপন্নতার মুখোমুখি। বর্তমান পরিবেশ-পরিমন্ডলে দূষণ জণিত কারণে স্বাভাবিক ও রোগমুক্ত জীবনযাপন করা প্রায় অসম্ভর হয়ে পড়েছে। আলোচনায় উঠে আসছে পরিবেশ দূষনের বিভিন্ন উৎস, যা আগে অনেকের অজানা ছিল, সেসব উৎস সম্পর্কে আলোচনা হয়। এই সব উৎসসমূহ নিয়ন্ত্রণ করতে বিজ্ঞান পরিবেশ দপ্তর গঠিত হয়েছে, আইন প্রনয়ন হয়েছে। জলদূষন বায়ুদূষন ও কলকারখানার দূষণে কবল থেকে মানবসমাজকে রক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।। এইসব আইন প্রনয়নের সুফল পেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশ্বেশ্বর কর্মকার রাজ্যপর্ষদের সদস্য।