শেয়ার বাজারে পতন যেন কিছুতেই থামবে না। বিশেষজ্ঞরা গলা ফাটাচ্ছেন। বলছেন, ভারতীয় অর্থনীতি মজবুত, তাই চিন্তার কিছু নেই। যত দোষ বিদেশী অর্থনীতি বা বলা ভাল চিনা অর্থনীতির। এটা সত্যি যে, বিশ্বায়নের যুগে চিন বা মার্কিন যুক্তরাস্ট্র, এমনকী পুঁচকে দেশ গ্রীসও ভারত বা অন্যদেশের শেয়ার বাজারকে টলিয়ে দিতে পারে। আজ দুপুর ১টায় সেনসেক্স ২৬০০০-এর নিচে নেমে এসেছে। নিফটি ৭৯০০-র নিচে। তবেই বুল বিদায় নিলো, শুরু হলো বেয়ার-এর পালা? বিশেষজ্ঞরা অংক কষে বলছেন, বুল এখনো বিদেয় নেয় নি। নড়বড়ে বাজার আসলে কারেকশনের মুডে আছে। এদের যুক্তি হলো, সেনসেক্স এখন গড় ‘পি ই’-এর চাইতে অনেকটাই বেশি আছে, অর্থাৎ ওভারভ্যালুড। আবার, কেউ কেউ বলছেন, বুল পিরিয়ড এখনো আছে বটে, কিন্তু মোদি ম্যাজিক গত একবছরে অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে, ফলে শেয়ার বাজারের সূচকে ধাক্কা লেগেছে। যুক্তি তর্কের মাঝে, সার কিছু বিষয় উঠে আসছে। প্রথমত: রিয়েল এস্টেট সেকটর এবছর খুব একটা লাভজনক ব্যবসা করতে পারবে না। দ্বিতীয়ত: মৌসুমী বৃষ্টির পরিমানে ঘাটতি থাকায়, খারিফ শষ্যের উপর প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া, সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরে দেশীয় জি ডি পি’র হার বৃদ্ধির মাত্রাও লক্ষ্যের চাইতে কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে চিন্তার বিষয় হলো, টাকার দাম কমছে। ইতিবাচক দিক বিবেচনা করলে বলা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমায়, ভারতের তেল আমদানি খরচ হ্রাস পেয়েছে অনেকটাই।
তত্ত্ব কথা থেকে এটাই পরিষ্কার যে, শেয়ার বাজারে বেশ টানাপোরেন চলছে। এরই মাঝে ইনফ্রা সেকটর-এর শেয়ার কিংবা অরবিন্দ বা সান ফার্মার শেয়ার মাঝারি সময়ে ভালো রিটার্ন দিতে পারে। রাস্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলি খুব একটা লাভজনক নাও হতে পারে, বিশেষত: রিয়েল এস্টেট সেকটর যদি ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তাহলে অনাদায়ী ঋণের বোঝা চাপবে রাস্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঘাড়ে। তবে এক্সিস ব্যাঙ্ক-এর দর যখন ৪৭০-৪৮৫ টাকার রেঞ্জে থাকবে, তখন কিছু শেয়ার কেনা যেতে পারে, তবে দর বাড়লেই অতি লোভ না করে প্রফিট বুক করা উচিত হবে।
(এই আলোচনা অনুযায়ী শেয়ার কেনাবেচা করে লাভ-লোকসানের জন্য প্রো-মাস দায়ী নয়)















