ProMASS: Jan 12, 2017: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং সেবির অনুমতি নিয়েই বিগত ব্রামফ্রন্ট সরকারের আমলে রাজ্যে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাগুলি তৈরি হয়েছে ব’লে তৃনমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জী অভীযোগ করেছেন। কলকাতা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে কংগ্রেসের গতকাল নোট বাতিলের বিরোধিতায় তৃনমূল কংগ্রেসের ধর্না কর্মসূচীর তৃতীয় তথা শেষ দিনে তিনি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বাড়বাড়ন্তের জন্য বিগত বাম সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও সেবির মত কেন্দ্রীয় সংস্থার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন।
তাঁদের সরকারের আমলে রাজ্যে কোন বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা গড়ে ওঠেনি ব’লে দাবী করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁরা এইসব লগ্নি সংস্থায় বিনিয়োগ ক’রে ক্ষতিগ্রস্তদের ইতিমধ্যেই ৩০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরন দিয়েছেন।
একদিকে, নোট বাতিলকে কেন্ত্র ক’রে নরেন্দ্র মোদি সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে চাপান-উতোর চলছে। কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিরোধিতায় তৃনমূল কংগ্রেস সাংসদরা আবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরা প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ করেন। ৩০ সদস্যের দলটি গতকাল রাষ্টপতি ভবনে,প্রনব মুখোপাধ্যায়ের হাতে স্মারক লিপি তুলে দেয়। বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের ডেরেক ও’ব্রায়েন জানান, আগে নোট বাতিলের জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে তাঁরা আর্থিক জরুরী অবস্থা আখ্যা দিয়েছিলেন, কিন্তু এখন যা চলছে সেটা মহা জরুরী অবস্থা।
তৃনমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বলেন, দিল্লি, কলকাতা সহ দেশের ৯টি জায়গায় তাঁদের তিনদিনের ধর্না-বিক্ষোভ কর্মসূচী শেষ হয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচী দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জী ঘোষনা করবেন।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলী বলেছেন, নোট বাতিল এবং পন্যও পরিষেবা কর জি. এস.টি, দেশের অথৃনৈতিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধি পাবে এবং এই আয় স্বচ্ছতর হবে।
গাদ্ধীনগরে গুজরাট বানিজ্য সম্মেলনে শ্রী জেটলি গতকাল জানান, জি.এস.টি. সংক্রান্ত বেশিরভাগ সমস্যারই নিস্পত্তি হয়েছে। যেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে সমাধান এখনো হয়নি, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাও মিটে যাবে।