ProMASS News Bureau: Jan 6, 2016:
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বুধবার আগরতলা থেকে ৫০ কিমি দূরে শ্রীমন্তপুরে ‘ইন্টেগ্রেটেড ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন’-এর উদ্বোধন করেন। এই অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও উপস্থিত ছিলেন। অভিবাসন কেন্দ্র সহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধাযুক্ত এই ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনটির মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যকে তেজি করার পাশাপাশি রাজ্যের অর্থনীতিকেও গতিদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিপাহিজলা জেলার অন্তর্গত সোনামুড়ার সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম শ্রীমন্তপুরে ২.৮৬ একর এলাকার উপর এই শ্রীমন্তপুর এল সি এস স্থাপন করতে ব্যয় হয়েছে ১৬ কোটি টাকা।
এল সি এস উদ্বোধন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সীতারামন সমাবেশে উপস্থিত স্থানীয় জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণে দেশের প্রকৃত বিকাশের জন্য সমস্ত রাজ্যের সার্বিক ও সমান হারে উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইচ্ছার কথা প্রসঙ্গসূত্রে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির উপর স্বাভাবিকভাবেই অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তিনি আরো বলেন, শ্রীমন্তপুরের নতুন এল সি এ-টি সামগ্রিকভাবে এই অঞ্চলের এবং বিশেষ করে এই রাজ্যের গুরুত্বকে আরো বৃদ্ধি করবে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে গভীরতর করে একই সঙ্গে রাজ্যের উন্নয়নের সম্ভাবনাকে আরো সম্প্রসারিত করবে।
রাজ্যে চালু প্রকল্পগুলির বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এর ফলে রাজ্য দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে। এই প্রসঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন যে, ফেনি নদীর উপর সেতু নির্মাণের বিষয়ে তিনি বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলবেন। এর আগে, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যোগসূত্রের জন্য সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। তিনি বলেন, ফেনি নদীর উপর সেতু নির্মিত হলে এই অঞ্চলের পাশাপাশি এ রাজ্যের ক্ষেত্রেও পরিবহন, ব্যবসা ও বাণিজ্যে গতি আনবে। এছাড়াও তিনি শ্রীমন্তপুর এল সি এস যে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তাতে জোর দেন। তিনি বলেন, শ্রীমন্তপুর বাংলাদেশের কুমিল্লা থেকে মাত্র ৮ কিমি এবং ঢাকা থেকে ১০৪ কিমি দূরে।
উপরন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ‘উত্তর-পূর্ব শিল্প উন্নয়ন নীতি’ যে সম্ভাবনাময় এবং এর যে চাহিদা আছে সেই কথা উল্লেখ করে বলেন যে, তিনি এই নীতির নিয়মিতকরণের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করবেন। সীতারামন আরো বলেন, রাজ্যের রাঘনা (ধর্মনগর) এবং কমলপুরে আরো দু’টি সীমান্ত হাট স্থাপনের জন্য রাজ্য সরকার যে প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক তা কার্যকরভাবে বিবেচনা করবে। রাজ্যের দুর্গম ও জটিল পাহাড়ি এলাকায় সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা রয়েছে সেই বিষয়টি উল্লেখ করে শ্রীমতী সীতারকম বলেন, এই সূত্রে কেন্দ্রীয় সরকার জলপথ উন্নয়ন প্রকল্পগুলির জন্য রাজ্যকে সম্ভাব্য সমস্ত রকম সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ত্রিপুরার শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সহীদ চৌধুরী, বিধায়ক শ্যামল চক্রবর্তী, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব ভুপিন্দর সিং ভাল্লা, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের অধীনস্থ শিল্প নীতি ও উন্নয়ন দপ্তরের যুগ্ম সচিব রভনীত কাউর, ত্রিপুরার শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব জি এস জি আয়েঙ্গার উপস্থিত ছিলেন।