Pro-Mass News Bureau: Dec 14, 2015:
একটা বোকা বোকা শব্দের ব্যবহার ত্রিপুরায় খুব হচ্ছে আজকাল। দ্বিতীয় স্থান। কিন্তু, প্রতিবারই প্রথমের (বামফ্রন্ট) সাথে দ্বিতীয় স্থানের (কং বা বিজেপি বা তৃণমূল) দলটির ভোটে কি আসনের নিরিখে, কি শতাংশের হিসাবে, আসমান জমিন ফারাক। দ্বিতীয় খোঁজার চেষ্টা মানে তো প্রথমের সাথে তুলনা। কিন্তু প্রথম যে হিমালয় সদৃশ, তার সাথে টিলাভূমির তুলনা করলে, দ্বিতীয় স্থানের দলটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা করা যাবে না। বরং দেখা যেতে পারে হেরে যাওয়া দলগুলির মধ্যে প্রথম কোন দল হয়েছে। তাহলে বিরোধী দলগুলি নিজেদের প্রকৃত অবস্থান জেনে কত শতাংশ ভোট নিজেদের দিকে সুইং করাতে পারলে, প্রথম হওয়া যাবে, সে বিষয়ে কিঞ্চিৎ ধারণা করতে পারবে। তা না হলে মিথ্যা আনন্দে মত্ত হয়ে সব সময়ই দ্বিতীয় হয়ে বগল বাজাতে হবে।
সদ্য শেষ হওয়া পুর নির্বাচনে আগরতলা পুর নিগম সহ মোট ১৩টি পুর পরিষদ ও ৫টি নগর পঞ্চায়েতের সব ক’টিই এবার বামফ্রন্টের দখলে গেছে। বিরোধীরা সমবেতভাবে ‘জিরো’। আসনের হিসাব করলে, সব মিলিয়ে ৩১০টি আসনের মধ্যে বামফ্রন্ট পেয়েছে ২৯১টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ১৩টি, বিজেপি ৪টি, নির্দল ২টি আসন। অর্থাৎ বিরোধীরা সমবেতভাবে মোট আসনের ৬.১% আসন পেয়েছে বাকি ৯৩.৯% আসন পেয়েছে বামফ্রন্ট। বলুন তো, এক্ষেত্রে কে দ্বিতীয় হলো তা নিয়ে মাতামাতির কোন মানে হয়? এযেন ঢাকিসুদ্ধু বিসর্জনের পর কোন ঢাকটি কতটা ডুবলো তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা করা। বিরোধীরা যখন এই রকম অর্থহীন আলোচনায় মত্ত, বামপন্থীরা তখন আবার নতুন করে জনসংযোগকে বাড়াতে মাঠে নেমে পড়েছে। সত্যি বলতে কী, বামফ্রন্ট অদ্বিতীয়, তাই দ্বিতীয়ের গর্ব নিয়ে ঠান্ডা ঘরে গরম চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বিরোধীদের আখেরে কোন লাভ নেই।