ProMASS News Bureau: Aug 18, 2016:
ছোট ছোট কৃষকদের উদ্যোগপতি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবং সর্বোপরি কৃষকক্ষেত্রকে আরও লাভজনক ক্ষেত্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগরতলা প্রেসক্লাবে, রাজ্যসরকারের জৈব প্রযুক্তি দপ্তর ও জয়পুরের কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় কৃষি বিপনন সংস্থা (NIAM)-র যৌথ উদ্যোগে এবং কৃষি উৎপাদক সংস্থার ব্যবস্থাপনায় তিনদিনের এক কর্মশালা গতকাল থেকে শুরু হয়েছে, চলবে ১৯ অগাষ্ট, শুক্রবার পর্যন্ত।

প্রতিযোগিতার বাজারে দালালদের খপ্পর এড়িয়ে কৃষকদের ঘরে লাভ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কৃষি উৎপাদক সংস্থা বা ফারমার্স প্রডিওসর অর্গানাইজেশন (এফ পি ও) গঠন করার উপর সরকার জোর দিয়েছে। কোম্পানী আইন ১৯৫৪-এর ৯ নং ধারায় এই ধরণের সংস্থাগুলির নথিভুক্তকরণের সুযোগ রয়েছে। কৃষকদের সংঘবদ্ধভাবে কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের সুযোগ প্রদান এবং স্ব স্ব শেয়ার বা মূলধন অনুযায়ী লভ্যাংশ বন্টন করে কৃষকসমাজের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার পন্থা নির্ধারণ করাই এফ পি ও-র মুখ্য উদ্দেশ্য। আয়োজিত কর্মশালা প্রসঙ্গে আলোকপাত করে একথা বলেন জাতীয় কৃষি বিপনন সংস্থা (NIAM)-র পক্ষে বিশেষজ্ঞ সূচী মেহতা। তিনি বলেন, এফ পি ও গঠনের ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্বাঞ্চল পিছিয়ে রয়েছে। তবে কর্ণাটক, মহারাস্ট্রের মত বড় বড় রাজ্যগুলিতে এফ পি ও বেশ ভালভাবেই কাজ করছে। আগরতলার পর মিজোরামে এইধরণের কর্মশালার আয়োজন করা হবে বলে তিনি জানান।

মূলত: রাজ্যে এফ পি ও-গুলিকে আরও শক্তিশালী করা এবং লাইসেন্সিং সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এফ পি ও-র সদস্যদের অবহিত করার লক্ষ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করা হযেছে বলে জানিয়েছে রাজ্য জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের আধিকারিক অঞ্জন সেনগুপ্ত। তিনি আরও জানান, রাজ্যে বেশিরভাগ কৃষকই ক্ষুদ্র এবং মাঝারি চাষী। অসংগঠিত হওয়ার কারণে কৃষকরা সাধারণত: কৃষিপণ্য বিক্রয় করার ক্ষেত্রে ফড়েদের হাতে হেনস্তার শিকার হয় এবং এতে কৃষকদের আনুমানিক ১০-১৫% ক্ষতি হয়। এই পরিস্থিতি থেকে কৃষকদের মুক্ত করতে এফ পি ও কার্যকরী ভূমিকা নেবে বলে তিনি জানান। এফ পি ও-তে প্রায় ১০০০জন কৃষককে যুক্ত করে কৃষকদের উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, আর্থিক ব্যবস্থাপনা সহ বিভিন্ন বিষয়ে পারঙ্গম করে তোলাও এই কর্মশালার অন্যতম উদ্দেশ্য বলে তিনি মন্তব্য করেন। NIAM, রাজ্য জৈব প্রযুক্তি দপ্তর, ভারতীয় কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (ICAR) এবং NABARD-এর বিশেষজ্ঞরা কর্মশালায় কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন।