Feb 9, 2017: বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০০ কোটি মানুষের খাদ্যে দুটি অণু-পুষ্টি উপাদান – আয়োডিন এবং আয়রন- এর ঘাটতি থাকে। আয়রনের ঘাটতিতে রক্তাল্পতা জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়, অন্যদিকে মানবদেহ ও মনের স্বাভাবিক বিকাশ সহ বিভিন্ন ধরণের রোগ হয় আয়োডিনের ঘাটতির কারণে। অথচ এই দুটি অণু-পুষ্টির ঘাটতি মেটানো আদৌ কঠিন সমস্যা নয়। আমাদের ভারতবর্ষ তথা ত্রিপুরায়ও রক্তাল্পতা ও আয়োডিনের ঘাটতি জনিত রোগে আক্রান্তের রোগী রয়েছে। বিশেষত: ত্রিপুরার দূর্গম পাহাড়ি ও দরিদ্র জনপদে এই ধরণের সমস্যা ব্যাপক না হলেও, ব্যতিক্রমীও নয়।
ত্রিপুরার জনগণের মধ্যে আয়োডিন এবং এর সঙ্গে আয়রনের ঘাটতি দূর করতে রাজ্য সরকারকে সহায়তা করতে এগিয়ে এল টাটা ট্রাস্ট। আজ আগরতলায় আয়োজিত এই সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে রাজ্য সরকার ও টাটা ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয় শিক্ষা মন্ত্রী তপন চক্রবর্ত্তী, অতিরিক্ত অধিকর্তা সন্তোষ কর্মকার এবং টাটা ট্রাস্টের পুষ্টি বিভাগের প্রধান শিবা সুব্রহ্মমোনিয়াম সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো আয়রন ও আয়োডিনের সমস্যা একটি সহজ উপায়ে দূর করতে টাটা ট্রাস্টের বিশেষজ্ঞ বক্তারা আয়রন ও আয়োডিনের ডবল ফোর্টিফায়েড লবন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। এই ধরণের লবনে প্রয়োজনীয় পরিমাণে আয়রন ও আয়োডিন থাকায় এই দুটি অণু-পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি জনিত সমস্যা তৈরি হয় না। আজকের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ডবল ফোর্টিফায়েড লবন-এর ব্যবহার কর্মসূচির সূচনা হল। বিশেষত: মিড-ডে মিল, সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প, আদিবাসী হস্টেল এবং সরকারি হাসপাতালে ডবল ফোর্টিফায়েড লবন ব্যবহার করা হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনএইচএম অতিরিক্ত অধিকর্তা সন্তোষ কর্মকার, খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তরের অধিকর্তা দেবাশীষ বোস, টাটা ট্রাস্টের প্রোজেক্ট ম্যানেজার বিশ্বনাথ সিংহ।