Manabendra Nag, Agartala: Oct 09, 2016:
কোন প্রকার সরকারী বা বেসরকারী সাহায্য ছাড়াই অন্নভোগের মাটির থালা বানিয়ে স্বরোজগারী হওয়ার পথ দেখাচ্ছেন আগরতলা শহরের অনতিদূরে আনন্দনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মৃৎ শিল্পী গৃহবধু ঝর্না রুদ্রপাল। কথায় বলে যদি মানুষের ইচ্ছা শক্তি আর উদ্যোগ উৎসাহ থাকে, তবে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতাই মানুষের ইচ্ছা শক্তি আর উৎসাহ আর উদ্দীপনাকে ঠেকাতে পারেনা। আর তারই জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হল আগরতলার আনন্দনগরের এই মহিলা মৃৎশিল্পি। ঝর্না রুদ্রপালের মাটির থালা, ফুলের টব ইত্যাদি তৈরীতে মৃৎশিল্পীর শিল্পনিপুনতা চোখে পড়ার মত। বিশেষ করে উৎসবের দিনগুলিতে এই মাটির থালাগুলির বেশ চাহিদা রয়েছে। সেই দিক থেকে শিল্পী ঝর্না পালের মাটির থালার হাত ধরে আয়ের পথ সুগম হয়েছে। কেননা মৃৎশিল্পী ঝর্না পাল গড়ে প্রতিদিন ১০০ মত থালা তৈরী করে দৈনিক গড়পড়তা ৩০০টাকা রোজগার হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে তার নিজস্ব উদ্যোগই তাকে স্ব-রোজগারী করে তুলছে।
কিন্তু ঝর্নাপাল ক্ষোভের সাথে জানান আর্থিক অনটনের কারনে তার মৃৎশিল্পকে আর বেশি দূর অগ্রসর করা যাচ্ছেনা। তার কারণ, নেই কোন সরকারী সাহায্য। তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে মৃৎ-শিল্পের মত চিরাচরিত শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে গেলে সরকারি সহায়তাআবশ্যিক, বললেন ঝর্না পাল। বাজারজাত করা এবং আর্থিক সহায়তার জন্য সরকার কোন কার্যকরি উদ্যোগ না নেওয়ার ফলে মৃৎশিল্পের আগামী ভবিষৎ কঠিন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে এসে দাঁড়াতে পারে, এমনটাই শিল্পীর অভিমত। তাছাড়া মৃৎ শিল্পী আরো বলেন, আধুনিকতার যুগে মৃৎ শিল্পের এমন কিছু দ্রব্য রয়েছে যেগুলি রাজ্যের বাজারে এবং রাজ্যের বাইরে ও বহি: রাজ্যের শিল্পমেলাতে যথেষ্ঠ চাহিদা রয়েছে। যেমন, বাহারী সাজের ফুলের টব, কিন্তু তার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকার ফলে বাহিরের সাজের ফুলের টবগুলি তৈরী করতে সমস্যা রয়েছে। যদি উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরী করতে সরকারী বা সরকারী স্তরে সাহায্য পাওয়া যায়, তবে মৃৎশিল্পী ঝর্না পাল তার আয়ের উৎস বাড়াতে পারবে। পাশাপাশি তার মৃৎশিল্পে স্থানীয় কিছু শ্রমিক নিয়োগ করে তাদেরকে ও স্বরোজগারী হওয়ার ক্ষেত্রে এক নুতন পথ দেখাতে পারে এটাই জানান।