Feb 12, 2017: গরিব ও সাধারণ মানুষের কাছে আচ্ছে দিন অধরা থেকে গেছে, আচ্ছে দিন এসেছে বড়লোকের, পুঁজিপতিদের মুনাফায় আচ্ছে দিন এসেছে। বিজেপি’র আমলে বিগত তিন বছরে বেকারদের চাকরীর সুযোগ নেই, কলে-কারখানায় লোক ছাঁটাই হচ্ছে, বাড়ছে জিনিস পত্রের দাম। কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা কমার কোন লক্ষ্মণ নেই। সরকারের বিমুদ্রায়ন নীতির কারণে সাধারণ মানুষকে ব্যাপক ভাবে নাজেহাল হতে হয়েছে। আজ ত্রিপুরার ধলাই জেলার আমবাসায় সিট্যুর ১৪তম রাজ্য সম্মেলনে ভাষণে এইভাবে বিজেপি সরকারকে দুষলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে ব্যয়বরাদ্দ কমিয়ে দিচ্ছে, বরাদ্দ কাটছাঁট হয়েছে বিভিন্ন ভাতা প্রদান প্রকল্পে। ফলে গরীব ও সমাজের দুর্বল শ্রেণীর নাগরিকদের বেহাল দশা। শ্রমিকদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মানিক সরকার বলেন, কেন্দ্রীয় নীতির ফলে একদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমছে এবং বাড়ছে কর্মচ্যুতির ঘটনা। মনরেগায় শ্রমদিবস তৈরির লক্ষ্যমাত্রা না বাড়ানোয় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়নে রাজ্য সরকার দক্ষতার পরিচয় দিলেও, কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক কারণে এরাজ্যকে বঞ্চিত করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসের কালো দিনগুলি কাটিয়ে ত্রিপুরা এখন বিকাশের পথে এগিয়ে চলছে। ত্রিপুরার জনগণ ও সুরক্ষা বাহিনির সহযোগিতায় রাজ্য সরকার সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য স্তব্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন বিরোধী শক্তিরা রাজ্যভাগের চক্রান্ত চালাচ্ছে। এই শক্তির সঙ্গে আগামী বিধানসভায় জোট করে রাজ্যে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে বিজেপি। কিন্তু রাজ্যের জনগণ এই চক্রান্ত বানচাল করে দেবে বলে তিনি জানান। ভাষণে তিনি রাজ্যে, বিশেষত আদিবাসী এলাকা উন্নয়নে রাজ্য সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
এদিনের প্রকাশ্য সমাবেশে সিট্যুর সর্বভারতীয় সম্পাদক তপন সেন, রাজ্য সভাপতি মন্ত্রী মানিক দে , রাজ্য সম্পাদক সাংসদ শংকর প্রসাদ দত্ত এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।