পালাটানায় গেরুয়া বিপ্লবের গর্জন
পালাটানা বিদ্যুত কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের যাত্রা শুরু হলো। ১লা ডিসেম্বর এই ইউনিটটির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরভাই মোদী। মোট ৭২৬ মেগা ওয়াট ক্ষমতার গ্যাস ভিত্তিক এই বিদ্যুত কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড: মনমোহন সিং, ২০০৫ সালের ৩১ অক্টোবর। এরপর বিদ্যুত উৎপাদনের প্রথম ইউনিটটি উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী। দ্বিতীয় ইউনিটটি উদ্বোধন করে স্বভাবসুলভ ভঙ্গীতে নরেন্দ্র মোদী বলেন, সবুজ ও শ্বেত বিপ্লবের পর দেশের বিকাশে এখন প্রয়োজন গেরুয়া বিপ্লব। অর্থাৎ কৃষি বিপ্লব ও দুগ্ধ বিপ্লবের পর বর্তমানে উর্জা বা শক্তির বিকাশে বিপ্লব চাই।
<>
রাজ্যে বিপর্যস্ত বিমান পরিসেবা
মুখ থুবড়ে পড়েছে কোলকাতা-আগরতলা রুটে বিমান পরিষেবা। বেসরকারী সংস্থা জেট এয়ারওয়েজ আগরতলা থেকে পরিষেবা তুলে নিয়েছে। স্পাইস জেটও অনিয়মিত, অনিশ্চিত। এখন ভরসা ইনডিগো আর রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। উড়ান সংখ্যা কমে যাওয়ায় টিকিটের চাহিদা বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। ফলে বাড়ছে টিকিটের দাম। ২০০০-৩০০০ টাকার টিকিট এখন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দামে বিকোচ্ছে। বেশি দাম দিয়েও অনেক সময় টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। “এ তো সবে কলির সন্ধ্যা, যতদিন যাবে তত বোঝা যাবে বেসরকারীকরণের মহিমা”, কোলকাতা থেকে ১৫ হাজার টাকার টিকিটে আগরতলা এয়ারপোর্টে নেমে বললেন জনৈক সুবোধ ব্যানার্জী। বেসরকারী বিমানের বদলে এখনই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান আরও বেশি করে চালানোর দাবি জানালেন তিনি। রাজ্যের তিন সাংসদ এনিয়ে সংসদে জোর সওয়াল করেও সমস্যার সুরাহা করতে পারেন নি। টিকিটের মূল্য সীমা বেঁধে দিয়ে সরকার নিয়ন্ত্রিত বিমান পরিষেবা আরও বাড়ানোর দাবির প্রতি ভারত সরকার এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয় নি।
<>
গোমতীর জলে ভাসছে তেল
বিজ্ঞানের নিয়মেই জলে তেল ভাসে। কিন্তু নদীর জলে তেল বাসতে দেখলে জনমনে আতংক দেখা দেয় বই কি। সম্প্রতি গোমতী নদীর জলে তেল ভাসতে দেখা গেছে, বেঘোরে মাছ মারা পড়ছে। আতংকিত করবুক, অমরপুর, উদয়পুর, সোনামুড়ার বাসিন্দারা। তেল কোথা থেকে এল নিশ্চিতভাবে জানা যায় নি। অনুমান করা হচ্ছে ডম্বুর জলবিদ্যুত কেন্দ্র থেকে কোনভাবে তেল গোমতীর জলে এসে পড়েছে। পানীয় জল ও শৌচবিধি দপ্তরের মন্ত্রী রতন ভৌমিক ইতিমধ্যেই গোমতীর জল নিরীক্ষণ করে এসেছেন, কিন্তু তা-ও তেলের উৎস এখনো অজ্ঞাত।
<>
আর নয় ডোনার
যোজনা কমিশনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। এবার ডোনার-এর দিকে আঙ্গুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। যোজনা কমিশনের বিকল্প কি হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, পূর্বোত্তর ভারতের বিকাশে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে ডোনার। তাঁর দাবি, পূর্বোত্তরে সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অফিস (পি এম ও)-এর অধীনে একটি আলাদা দপ্তর বা সেল খোলা হোক।