ProMASS News Bureau: Jan 22, 2016:
ডোমেস্টিক এফিসিয়েন্ট লাইটিং প্রোগ্রাম (ডি ই এল পি)-এর আওতায় এনার্জি এফিশিয়েন্সি সার্ভিসেস লিমিটেড (ই ই এস এল) বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৫ কোটি এল ই ডি বাতি বিতরণের কাজ শেষ করেছে। ব্যাপক এই সাফল্য অর্জনের জন্য ই ই এস এল-কে অভিনন্দন জানিয়ে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ, কয়লা ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) শ্রী পীযূষ গোয়েল একই টুইটে বলেছেন, “পাঁচ কোটি এল ই ডি বাতি বিতরণের জন্য ই ই এস এল-কে অনেক অনেক অভিনন্দন। আগামী দু’মাসে এই ধরনের বাতি বিতরণের সংখ্যাটি দ্বিগুণ হয়ে যাবে।”
ই ই এস এল-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ নাগাদ ৭ কোটি এল ই ডি বাতি বিতরনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে এবং মার্চ মাসের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা ৯-১০ কোটিতে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। ডোমেস্টিক এফিসিয়েন্ট লাইটিং কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিদিন ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ৮৭ হাজার কিলোওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব যার বাজারদর প্রায় ৬ কোটি ৯৫ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা। সাধারণ বাতির পরিবর্তে এল ই ডি বাতি ব্যবহার করা হলে তা ১৪ হাজার ৪৬৯ টনের মতো কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গমন কমাতে পারে।
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ই ই এস এল দেশ জুড়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি ডি ই এল পি-এর আওতায় এল ই ডি বাতি বিতরণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। ডি ই এল পি-র উদ্দেশ্য হল দেশ জুড়ে বিক্রি হওয়া ৭৭ কোটি সাধারণ মানের বাতির পরিবর্তে এল ই ডি বাতির ব্যবহার করা। এই ৭৭ কোটি সাধারণ বাতির পরিবর্তে যদি এল ই ডি বাতি ব্যবহার করা যায়, তাহলে ১০০ বিলিয়ন কিলোওয়াটের মতো বিদ্যুৎ সাশ্রয় এবং প্রতি বছর ৮০ মিলিয়ন টন গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমানো সম্ভব। সেইসঙ্গে, গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিলের মাশুল বার্ষিক ৪০ হাজার কোটি টাকা কমানোও সম্ভব। এর অর্থ, প্রত্যেক গ্রাহকের প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচে চার টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় সম্ভব।