আই পি এফ টি’র ডাকা ১২ ঘন্টার ‘পাহাড় বন্ধ’ কোন রকমের বড়মাত্রার অশান্তি ছাড়া শেষ হল। তবে এডিসি’র প্রধান কার্যালয় খুমলুঙ আজ সকাল থেকেই সকলের নজরে ছিল। কর্মীরা ভিন্ন পথে এসে কার্যালয়ের কাজে যথারীতি যোগ দেন। আই পি এফ টি’র সমর্থকরা পুলিশি কর্ডন ভেঙ্গে এগুতে চাইলে পুলিশ বাধ্য হয়ে মৃদু লাঠিচার্জ করে। এতে সিপিএম এবং আইপিএফটি’র জনা ১৫জন সমর্থক আহত হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। এদিন বন্ধ সফল করতে হিংসাত্মক পিকেটিং করায় পুলিশ ২০০ জনেরও বেশি আইপিএফটি’র সমর্থকদের গ্রেপ্তার করেছে। বি জে পি সহ সব কটি রাজনৈতিক দলই এই বন্ধ-এর বিরোধিতা করেছে। উল্লেখ্য, আদিবাসীদের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবির সমর্থনে আই পি এফ টি আজ (১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫) ১২ ঘন্টার ‘পাহাড় বন্ধ’ ডেকেছিল।
শাসক দল সি পি আই এম প্রথম থেকেই এই বন্ধ-এর কড়া বিরোধিতা করলেও, বন্ধ-এর দিন এটিকে ব্যর্থ করতে নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের দিয়ে পিকেটিং করায় নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আই পি এফ টি’র উস্কানির ফাঁদে পা দিয়ে সি পি আই এম তথা রাজ্য সরকার বেশ বুদ্ধিমত্তা ও পরিপক্কতার দৃষ্টান্ত রেখেছে। অশান্তির আশংকায় এডিসি ভুক্ত এলাকায় বন্ধ-এর কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। বন্ধ বিরোধিরা মাঠে না নামলেও, হিংসা রুখতে বিশাল সংখ্যক পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী মোতায়েন করা হয়।