ProMASS: Jan 19, 2017: মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ভাঙড় কান্ডে বহিরাগতদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। এতো বড় ঘটনার আগাম খবর কেন পাওয়া গেলনা কেন, জেলার গোয়েন্দা কর্তাদের কাছে তিনি তা জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশকে আরো সংযত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
গত কাল নবান্নে যাবার আগে মুখ্যমন্ত্রী ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশ, সি.আই.ডি. ও গোয়েন্দা কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রয়োজনে দক্ষিন ২৪ পরগণার ভাঙরে প্রস্তাবিত পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের সাবস্টেশন প্রকল্পটি স্থানান্তরিত হতে পারে।
এক ট্যুইট বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোনো অনিচ্ছুক ব্যাক্তির কাছ থেকে জমি অধিগ্রহন করা হবে না। সেক্ষেত্রে প্রস্তাবিত প্রকল্পটিই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
এদিকে, রাজ্য সরকার স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভাঙড়ে জমির চরিত্র বদলানো হবে না। জোর ক’রে জমি না নেওয়ার অবস্থানেও কোন পরিবর্তন হয়নি।
বিদুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্রোপাধ্যায় বলেছেন, ভাঙড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার পর, রাজ্য সরকার বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের সঙ্গে অবশ্যই বৈঠকে বসবে। নিহিতদের পরিবারবর্গকে ক্ষতিপূরন দেবার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী নিজে দেখছেন এবং তিনি এ’বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ব’লে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান।
এস.ইউ.সি.আই.-এর এক প্রতিনিধিদল গতকাল ভাঙড়ের পদ্মাপুকুর, স্বরূপনগর, টোনা,উড়িয়াপাড়া, শ্যামনগর প্রভৃতি এলাকা ঘুরে দেখেন এবং আন্দোলনকারী গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন।