ProMASS: Jan 10, 2017: রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান সোসাইটির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে জাপানিজ এনকেফেলাইটিস একটি মশাবাহিত রোগ। এই রোগের লক্ষন হল তীব্র জ্বর, মাথা ব্যথা, খিচুনি, বমি বমি ভাব, প্রলাপ বলা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, শরীরের কোন অঙ্গ অসাড় হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। ত্রিপুরা রাজ্যের সমস্ত জেলায় এর প্রাদুর্ভাব রয়েছে। এই রোগের নিরাময়ের জন্য কোন নিদিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। কিন্তু এই জাপানিজ এনকেফেলাইটিস রোগের জন্য খুব কার্যকরী পদক্ষেপ হল শিশুদের টিকাকরন।
ত্রিপুরা রাজ্যের ৩ টি জেলা-খোয়াই, সিপাহিজলা এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় এই টিকা সার্বিক টিকাকরন প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ভারত সরকার আরো চারটি জেলায়-ঊনকোটি, গোমতী, ধলাই এবং দক্ষিন ত্রিপুরা জেলাকে এই টিকাকরন প্রকল্পের অধীনে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে ৯ থেকে ২২ জানুয়ারী ১ থেকে ১৫ বছর বয়সের সমস্ত শিশুকে শিবিরের মাধ্যমে বিদ্যালয়, অঙ্গনবাড়ি কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক ডোজ জাপানিজ এনকেফেলাটিসের টিকা দেওয়া হবে। তারপর এই জেলাগুলিতে ৯ থেকে ১২ মাস বয়সের সমস্ত শিশুকে প্রথম ডোজ এবং ১৮ মাস থেকে ২৪ মাস বয়সের সমস্ত শিশুকে দ্বিতীয় ডোজ জাপানিজ এনকেফেলাইটিসের টিকা সার্বিক টিকাকরন প্রকল্পের মাধ্যমে দেওয়া হবে। তাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান দপ্তরের পক্ষ থেকে ঊনকোটি, গোমতী, ধলাই এবং দক্ষিন ত্রিপুরা জেলার অভিভাবকদের আবেদন করা হচ্ছে বিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আয়োজিত শিবিরে এই টিকাকরনের সুযোগ গ্রহন করার জন্য। পাশাপাশি ঊনকোটি, গোমতী, ধলাই, দক্ষিন ত্রিপুরা, খোয়াই, সিপাহীজলা এবং পশ্চিম ত্রিপুরা এই ৭টি জেলার সমস্ত অভিভাবকদের অনুরোধ করা হচ্ছে যে, শিশুদের মধ্যে জাপানিজ এনকেফেলাইটিসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জানানোর লক্ষ্যে, শিশুদের জাপানিজ এনকেফেলাইটিস টিকাকরন শিবিরের পরেও যাতে সার্বিক টিকাকরন প্রকল্পের মাধ্যমে জাপানিজ এনকেফেলাইটিস টিকা দেওয়া হয়।
Courtesy: AIR NEWS