Feb 02, 2017: বাজেটে খুশি নন তৃনমূল কংগ্রেস নেত্রী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বাজেটের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বাজেট সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া হল এটি দিশে-লক্ষ্যহীন, সারবস্তুহীন এবং সর্বোপরি হৃদয়হীন বাজেট। বাজেটের সমালোচনা করে টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতের কোনো দিশা বাজেটে ফুটে ওঠে নি। জনগণের কাছে মোদি সরকার তার সমস্ত বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বাজেট এবং কর্পোরেট দুনিয়া নিয়ে বিরোধিতায় সরব পশ্চিমবঙ্গে সি পি আই এম নেতারাও। তাঁদের দাবি, রাজনৈতিক দলগুলিকে কর্পোরেট সংস্থাগুলির অর্থ যোগান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে হবে। সি পি আই এম দলের মতে, নগদে চাঁদা নেওয়ার উর্ধ্বসীমা ২ হাজার টাকা করলেই কালো টাকার লেনদেন বন্ধ হবে না। দলের সাধারন সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য্য বলেছেন, নোটবাতিলের ফলে জনসাধারনের যে ক্ষতি হয়েছিলো, এই বাজেট প্রস্তাবে তা আরো গভীর হলো।
প্রত্যাশিতভাবেই রাজ্য বিজেপি, বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে এবং দলের নেতা শমীক ভট্টাচার্য এই প্রথম বাজেট দেশের মা-মাটি-মানুষের বাজেট হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সমস্যা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে এই বাজেট। বাজেটের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়াকে তিনি কটাক্ষ করেন।
অবশ্য ভারত চেম্বার অফ কমার্স সভাপতি রাকেশ সাহা, বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে এটিকে ইতিবাচক ও ভবিষ্যতমুখী হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এদিকে, আর.পি.গোয়েঙ্কা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলেছেন, এই বাজেটে নগদ-ভিত্তিক থেকে নগদহীন অর্থনীতি’র রূপান্তরকেই সূচিত করছে। বন্ধণ ব্যাঙ্কের এম.ডি.চন্দ্রশেখর ঘোষ মতে, এই বাজেটে ব্যয়সাশ্রয়ী আবাসনকে পরিকাঠামো’র মর্যাদা দেওয়ার ফলে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র লাভবান হবে। কিন্তু বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি বি.এন.সি.সি.আই’র সভাপতি সুতনু ঘোষ অবশ্য বলেছেন, এই বাজেট নতুন কিছুই নেই, এটি নিয়মমাফিক।
উল্লেখ্য এবারের রেল বাজেটে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ গতবারের তুলনা্য় ২ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। গতবছর রেল বাজেট পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৩হাজার ৮২০কোটি টাকা। এবছর তা বেড়ে হয়েছে ৬হাজার ৩৩৬কোটি টাকা।