Pro-Mass News Bureau: Nov 3, 2015
লাগাতর প্রায় এক সপ্তাহ ধরে শেয়ার সূচক নিচরে দিকে নামছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ এর জন্য বিহার নির্বাচনের অনিশ্চয়তাকে দায়ি করছে। অনেকে বলছেন, আসলের দেশের আর্থিক উপাদানগুলিই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। পুরস্কার-ওয়াপসি’র ঘটনার আন্তর্জাতিক প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতির ভবিষ্যৎ কিছুটা হলেও অনিশ্চিত করে তুলেছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। এদিকে ডলারের প্রেক্ষিতে টাকার মূল্য এক ধাক্কায় ৩২ পয়সা হ্রাস পাওয়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ডলার-টাকার অনুপাত ৬৫.৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৮টি শিল্পক্ষেত্র নিয়ে তৈরি শিল্প উৎপাদন সূচক সেপ্টেম্বরে ৩.২% বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত চার মাসে এটা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। মূলত: সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ায় সুচক বেড়েছে বটে কিন্তু এর ইতিবাচক প্রভাব শেয়ার বাজারে পড়ে নি বলা যায়। বরং নিক্কেইয়ের সমীক্ষায় ভারতে অক্টোবরে উৎপাদন শিল্পে প্রবৃদ্ধি কমার কথা বলা হয়েছে এবং এর ফলে বাজারে লগ্নিকারিদের মধ্যে, বিশেষত বিদেশি লগ্নিকারিদের মধ্যে শেয়ার বেচার প্রবণতা দেখা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই এরফলে শেয়ার বাজারে তেজিভাব দেখা যাচ্ছে না। এমনকী সরকারি পরিসংখ্যানও শেয়ার বাজারে তেজিভাব আনতে পারছে না। আজ শেয়ার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় এনটিপিসি এবং ওএনজিসি’র শেয়ারের দাম বেড়েছে কন্তিু লুপিন-এর দর কমেছে ২ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে ইউরোপিয় বাজার পড়তির দিকে হলেও এশিয়ার দু-একটি দেশ ছাড়া ভারত সহ অন্যান্য বাজার সামান্য হলেও সবুজের আভা দেখেছে।