ProMASS News Bureau: Jan 8, 2016:
আগামী ১৩ জানুয়ারী সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত আবহাওয়া মোটামুটি পরিষ্কার ও আর্দ্র থাকবে। দিনেরও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা নিম্নমুখী থাকবে এবং যথাক্রমে ২৫ থেকে ২৭ এবং ৯ থেকে ১২ ডিগ্রী পর্যন্ত পরিবর্তিত হতে পারে। এই সমূয়ে বাতাসের বেগ স্বাভাবিক থাকবে এবং বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে ৩ কিমি প্রতি ঘন্টায় বয়ে যেতে পারে। আর্দ্রতা ৩২ থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত পরিবর্তিত হতে পারে।
এই সময়ের জন্য কৃষি পরামর্শ হিসাবে ভারতীয় কৃষি গবেষণা পর্ষদ (আই সি এ আর) জানায়,
বরো ধান: নার্সারী আগাছা মুক্ত এবং উপযুক্ত তষ বজায় রাখতে হবে। চারা গাছের বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে চারার সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে। কুয়াশা থেকে রক্ষা করতে চারার জমি রাতে ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। মূল জমি তৈরীর জন্য আগের ফসল পুরোপুরি তুলে ফেলার বা জ্বালিয়ে ফেলার কোন প্রয়োজন নেই। এই অবশেষ অংশ মাটির সাথে ভালো করে মিশিয়ে দিন যা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। মাটির আল তৈরী করে তা পরিস্কার রাখতে হবে।
আলু: বর্তমান মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় আলুতে ধ্বসা রোগের আক্রমণের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এই রোগের আক্রমন প্রতিহত করতে সিমোক্সানিল + মেংকোজেব বা মেটাল্যাক্সি + মেংকোজেব ১.৫ গ্রাম প্রতি লিটার জলে শুলে ১৫ দিন অন্তর নুনাতম দুই বার স্প্রে করতে হবে।
রবি মরশুমে মসুর ইত্যাদি: জমিতে তস বজায় রাখতে জলসেচের প্রয়োজন এবং জলসেচের পর জমির মাটি অবশ্যই ঢেকে দিতে হবে। তবে জলসেচের আগে জমিতে চারা হাল্কা করে দিতে হবে এবং আগাছাও পরিস্কার করে দিতে হবে।
শীতকালীন সব্জী: জমির আগাছা পরিস্কার করে দিতে হবে এবং গাছের বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে ১/২ দিন পর পর ক্ষেতে জলসেচের ব্যবস্থা করতে হবে এবং জলসেচের পর জমি অবশ্যই ঢেকে দিতে হবে।
রবি ভুট্টা: মেঘলা ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ভুট্টা ক্ষেতে পাতা ধ্বষা রোগের আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। সতর্ক থাকুন এবং আক্রমণের মাত্রা বেশী হলে জিনের ৩ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে ২০ দিন অন্তর অন্তর স্প্রে করতে হবে।
কলা: শুষ্ক আবহাওয়ায় কলায়, কন্দের কেরী এবং কান্ড ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। বাচ্চা ও পূর্ণাঙ্গ কেরী পোকাগুলি মেরে ফেলতে হবে এবং আক্রান্ত পাতা জ্বালিয়ে দিন। কলা বাগান পরিস্কার রাখতে হবে।
আম: আগামী এক দুই পক্ষকালের মধ্যে গাছে ফুল আসবে। এই ফুল আসার সময় দয়ে পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। আক্রমণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে মনোক্রটোফস ১.৫ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে। মাটির সাথে গাছের কান্ড সাদা রং করে দিতে হবে। গাছ কিছুটা ছেটে দিতে হবে।
গবাদি প্রাণী: শংকর প্রজাতির গবাদি প্রাণী বিশেষ করে অল্প বয়সের বাছুর এই শীতের সময় ডায়রিয়া রোগ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। অতি সত্বর নিকটবর্তী পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শুকর: শীতের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং বিশেষ করে রাতের বেলায় শুকরের দেহ গরম রাখতে ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে। ঘরে বা আবদ্ধ জায়গায় শুকর পালনের সময় ঘরের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা একান্ত প্রয়োজন।