ProMASS News Bureau: Feb 11, 2016:
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত আবহাওয়া প্রধানত মেঘলা ও হাল্কা বৃষ্টিপাতের রয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে এবং উভয় তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৮ থেকে ৩০ এবং ১৭ থেকে ১৯ ডিগ্রী পর্যন্ত পরিবর্তিত হতে পারে। এই সময়ে বাতাসের বেগ স্বাভাবিক থাকবে এবং দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে গড়ে ৫ কিমি প্রতি ঘন্টায় বয়ে যেতে পারে। আর্দ্রতা ৩৩ থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত পরিবর্তিত হতে পারে।
কৃষি পরামর্শ:- এই সময়ের জন্য কৃষি পরামর্শ হিসাবে ভারতীয় কৃষি গবেষণা পর্ষদ জানিয়েছে:
বরো ধান: চারা মূল জমিতে লাগানোর ১০ থেকে ১৫ দিনের মাথায় আগাছা তুলে দিন। চাপান সার হিসাবে ইউরিয়া কানি প্রতি ৫ কেজি প্রয়োগ করতে হবে। জমিতে ২ থেকে ৩ সেমি জল ধরে রাখতে হবে।
আলু: আলুতে ধ্বষা রোগের আক্রমনের সম্ভাবনা বেশী। ম্যানকোজেব ৪৫ ইন্দফিল এম গ্রাম ৫.২ দিন অন্তর স্প্রে করতে হবে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ১৫ প্রতি লিটার জলে গুলে সকাল-বিকেল জমি নিরীক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে। আক্রমনের তীব্রতা বেশি হলে মেটালেক্সিল ৮ শতাংশ-এর সাথে মানকোজের শতাংশ ৬৪ বা সারমক্সিন শতাংশ ৮এর সাথে ম্যানকোজেব শতাংশ ৬৪ মিশিয়ে স্প্র করতে হবে।
রবি ভুট্টা: জমির স্বাভাবিক তষ নিয়ন্ত্রণ করতে জলসেচের ব্যবস্থা করুন। তষের পরিমান কমে গেলে তা ফলনে ব্যাঘাত ঘটাবে। জলসেচের পর মাটি অবশ্যই ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
রবি মরশুমে সর্ষে ইত্যাদি: মেঘলা আবহাওয়া সরিষার ক্ষেতে যাব পোকার আক্রমণ দেখা দেখা দিতে পারে। এই যাব পোকার আক্রমণের ফলে পাতা কুকড়িয়ে যায়। প্রতিহতের জন্য মনোক্রটফস বা এমিডাক্লোপ্রিড ২ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে ১৫ দিন অন্তর অন্তর স্প্রে করতে হবে।
কলা: উঁচু বা মধ্যম উঁচু জমিতে বৃষ্টিপাত না থাকার দরুন তষের পরিমান মারাত্মাভাবে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতে অনতিবিলম্বে জলের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে তার আগে গাছের নিচ ভালো করে পরিস্কার করে বেসিন বানিয়ে তাতে গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে। এক জায়গায় দুই বা তিনের বেশী চারা গাছ থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে।
গ্রীষ্মকালীন বেগুন ও টমেটো: ভালো এবং রোগমুক্ত চারা মূল জমিতে লাগানোর পর হাল্কা জলসেচের ব্যবস্তা করতে হবে।
ছাগল: ছাগল এই সময়ে বসন্ত রোগের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি মূলত একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। মুখের অথবা নাকের চারদিকে ছোট ছোট ঘামাচির মত দেখা দেবে। যদিও এই রোগ সারা শরীরে দেখা দেয় কিন্তু মুখের বা নাকের অংশে কোন লোম না থাকায় তা খুব সহজেই নজরে আসে। আক্রান্ত জায়গা পটাশিয়াম পারমেঙ্গানেট দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে এবং নিকটবর্তী পশু হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করে এন্টবায়োটিক মলমের ব্যবস্থা অথবা পরবর্তী চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
মাছ: বৃষ্টিপাত না থাকার দরুন বহু জায়গায় জলস্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। যেসমস্ত জায়গায় জল দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে সেসমস্ত পুকুরে জলস্ত বাড়াতে আলাদা করে জল ঢালুন এবং এক থেকে দেড় মিটার জলস্তর নিয়ন্ত্রন করতে হবে। আর যেসমস্ত জায়গায় এই ব্যবস্থা নেই সেইসব পুকুর থেকে মাছ সংগ্রহ করে বাজারজাত করতে হবে। বাজারে ছোট মাছেরও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।