Manabendra Nag: Belonia: Sep 30: রাজ্যে পর্যটনক্ষেত্রের আরেকটি নতুন পালক সংযোজিত হল। বাইসনের জন্য প্রসিদ্ধ দক্ষিণ ত্রিপুরার বিলোনিয়া মহকুমার অন্তর্গত রাজনগরে তৃষ্ণা অভয়ারন্যের নতুন আর্কষন প্রজাপতি পার্ক। তৃষ্ণা অভয়ারন্যের কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে গত শুক্রবার এক বর্ণময় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রজাপতি উদ্যানের যাত্রাশুরু। প্রায় ৫.৫ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত এই প্রজাপতি উদ্যানের উদ্ধোধন করেন রাজ্য বিধানসভার মূখ্যসচেতক বাসুদেব মজুমদার, উপস্থিত ছিলেন বনমন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া, রাজ্যের মূখ্য বনসংরক্ষক সনাতন তালুকদার, ত্রিপুরা জাইকা প্রকল্পের মূখ্য অধিকর্তা জি এস রাজু, বিধায়ক সুধন দাস, দক্ষিন ত্রিপুরার জেলাশাসক সি.কে জমাতিয়া, দক্ষিন জেলার এসপি তপন কুমার দেববর্মা। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষন রাখেন দ:জেলার বন সংরক্ষক-হর্ষ কুমার।স্বাগত ভাষনে বন সংরক্ষক হর্ষ কুমার বলেন রাজ্যের তৃষ্ণা অভয়ারন্যের আকর্ষণ হল প্রজাপতি-উদ্যান।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির ভাষনে জাইকা প্রকল্পের অধিকর্তা জি এস রাজু বলেন, ত্রিপুরা জাইকা প্রকল্প ও বায়ো–ডাইভারসিটি বোর্ড এর যৌথ উদ্দ্যোগে মনরেগা প্রকল্পের অর্থে এই প্রজাপতি উদ্যানটি নির্মিত হয়েছে। সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে জৈব বৈচিত্র বজায় রাখার জন্য প্রজাপতির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আর তারই লক্ষ্যে এই প্রজাপতি উদ্যানটি নির্মিত হয়েছে। মূলত বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতিদের আকৃষ্ট করার জন্যই প্রজাপতি উদ্যানে বিভিন্ন বাহারী ফুল ও পাতাবাহার গাছ বসানো হয়েছে। জাইকা প্রকল্পের অধিকর্তা জিএস রাজু জাইকা প্রকল্পের মূখ্য উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অপর এক ভাষনে রাজ্যের মূখ্য বনসংরক্ষক সনাতন তালুকদার বলেন, এই প্রজাপতি উদ্যানে সবমিলিয়ে ১০৫ রকমের রং-বেরঙের প্রজাপতি রয়েছে। এদের প্রজননগত ক্ষমতা রয়েছে। পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষার দিক থেকে প্রজাপতি উদ্যানের গুরুত্ব রয়েছে।
রাজ্যের ভ্রমন পিপাসুদের কাছে তৃষ্ণা অভয়ারন্যের পাশাপাশি এই প্রজাপতি উদ্যানটি আগামী দিনে জনপ্রিয়তা লাভ করবে – পাশাপা্শি আয়ের পথ সুগম হবে, এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করেন বিধান সভার মূখ্য সচেতক বাসুদেব মজুমদার। মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া বলেন, বাইসন লুপ্তপ্রায় প্রাণী, সেজন্য তৃষ্ণা অভয়ারন্যের বাইসন দেখা ভাগ্যের ব্যাপার। তবে তৃষ্ণার এই প্রজাপতি উদ্যানটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে, বলে তিনি মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য: উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এই ধরণের উদ্যোন এই প্রথম গড়ে উঠেছে।