কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের ৩০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে এবং আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হবে। তাই , চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় – অগ্রগতি, অঙ্গীকার, সমস্যা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও বিশ্লেষণের এটাই উপযুক্ত সময় বলে দপ্তরের মনে হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে, ফরিদাবাদের বায়োটেক সায়েন্স ক্লাস্টারে গত ৩১ আগস্ট বায়ো প্রযুক্তি দপ্তর এক বৈঠকের আয়োজন করে। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন। বৈঠকে দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ছাড়াও নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উদ্বোধনী ভাষণে ডঃ হর্ষবর্ধন সমাজ জীবনে জৈব প্রযুক্তি ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রটি অনুপ্রেরণামূলক কাজে এক নতুন ধারনার সঞ্চার করবে এবং একটি ভবিষ্যৎ কর্ম-পরিকল্পনা রচনার লক্ষ্যে উদ্যোগী হবে। সামাজিক স্বার্থে ভবিষ্যতের মূল কৌশলগত সমস্যাগুলির সমাধানেও এই ক্ষেত্রটি প্রত্যক্ষ ও পরিমিত অবদান রাখবে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি আরও জানান, বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এই ক্ষেত্রটি অন্যান্য মন্ত্রক ও দপ্তর এবং রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে।
দেশে জৈব প্রযুক্তি গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই দপ্তরের কাজের প্রশংসা করে তিনি তিন-চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর বিশেষ নজর দিয়ে আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে সাফল্য অর্জন করার আহ্বান জানান। তিনি আরও জানান, আগামী তিন বছর ধরে প্রত্যেক বছর নতুন নতুন সংস্থা, বায়োটেক ইনক্যুবেটর, সামাজিক ক্ষেত্র ও চিকিৎসা প্রযুক্তিতে ২০ শতাংশ হারে জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে।
স্টেম সেল গবেষণার ফলাফলের প্রভাব তিন বছরের মধ্যেই সিকল-সেল অ্যানিমিয়া ও থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসায় দেখা যাবে বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। দেশের দ্বীপপুঞ্জ ও প্রবাল প্রাচীরগুলির জৈব বৈচিত্র্যগত মানচিত্র নির্মাণের কাজ আগামী বছর নাগাদ শেষ হয়ে যাবে এবং এর ফলে ওষুধ আবিষ্কারক সংস্থাগুলি বিশেষভাবে উপকৃত হবে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চলতি বছরেই এইসব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা গড়ে উঠতে চলেছে বলেও ডঃ হর্ষবর্ধন জানান।