সারা দেশজুড়ে আজ বনধ্। কোথাও সর্বাত্মক, কোথাও আংশিক। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এন ডি এ সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ১২টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ১২ দফা দাবির সমর্থনে আজ ২৪ ঘন্টার ভারত বন্ধ-এর ডাক দেয়।
আজকের বনধ-কে ঘিরে পশ্চিমবাংলায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, দলীয় পতাকা হাতে তৃণমূল সমর্থকরা নির্মম হামলা চালিয়েছে বনধ্ সমর্থক, বিশেষত: বামফ্রন্টের সমর্থকদের উপর। প্রাক্তন বিধায়ক সহ সি পি আই-এম’র বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে তৃণমূল সমর্থকরা বেধড়ক মার মেরেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোলকাতায় মেট্রো এবং সরকারি বাস চলাচল করেছে। গুটি কয়েক বেসরকারি বাস ও ট্যাক্সি দেখা গেলেও সার্বিক ভাবে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধই ছিল। স্কুল, কলেজও বন্ধ ছিল বলে খবর পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ এলাকায় দোকানপাট খোলেনি। বনধ উপেক্ষা করে কাজে যোগ দেওয়ার ফরমান জারি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। বনধ ব্যর্থ করতে তৃণমুল কংগ্রেস সমর্থকরা রাস্তায় নেমেছে এবং সি পি আই-এম’র সমর্থকদের সাথে বচসা ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। খবরে প্রকাশ সি পি আই-এম নেতা অশোক ভট্টাচার্যকে পুলিস গ্রেফতার করেছে। বাম নেতাদের বক্তব্য, এতো সব অপপ্রয়াস সত্ত্বেও কোলকাতা সহ সারা পশ্চিমবঙ্গে বনধ সফল হয়েছে।
এছাড়া, বনধ সর্বাত্মক চেহারা নিয়েছে কেরালা এবং ত্রিপুরায়। এনডি টিভি জানিয়েছে, দিল্লিতে মেট্রো ও সরকারি বাস চলেছে তবে অটো রিক্সা চলছে না। তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে বনধ-এর জেরে সরকারি পরিবহন ব্যবস্থা, অটো চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। সরকারি কর্মচারিরা বনধ-এ অংশ নেওয়ায় প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে কর্নাটকে। বিহার, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, গোয়া ও মধ্যপ্রদেশে বনধ সফল হয়েছে বলা যায়। সরকারি কর্মচারিরা বনধ-এ অংশ নিয়েছে, সরকারি-বেসরকারি যান চলাচল প্রায় বন্ধ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দোকানপাটও খোলে নি। তবে বনধ-এর প্রভাব প্রায় পড়ে নি তামিলনাড়ুতে, জানিয়েছে এনডি টিভি। মুম্বাই-এ বনধ আংশিক সফল বলে জানা গেছে।