একদিকে উৎসব মুখর জনতা, অন্যদিকে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর – এরই মাঝে ২০ সেপ্টেম্বর নেপালে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সংবিধান কার্যকর হলো। কাঠমান্ডুতে সেদেশের সংসদে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে নতুন সংবিধানটি কার্যকর করার ঘোষণা দেন নেপালের রাষ্ট্রপতি রামবরণ যাদব। এরই মাধ্যমে হিন্দু রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে আত্মপ্রকাশ করলো ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী নেপাল। এই উত্তরনে পেছনে রয়েছে বিগত সাত বছর ধরে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা।
http://www.enewstime.in/?p=766
হিমালয়ের কোলে অবস্থিত নেপালের এই উত্তরণের দিনটি উদ্যাপনে জনগণ সেদেশের জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে আনন্দোল্লাসে মেতেছে। আকাশবাণী সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে নতুন সংবিধানের দাবি তুলে ১০ বছর ধরে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম করছে মাওবাদীরা। পরে ঐ সংগ্রাম থামে ২০০৬ সালের শান্তি চুক্তির মাধ্যমে। নতুন সংবিধানটি তৈরি করতে সাত বছর সময় লেগেছে। নতুন সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রী নেপালকে সাতটি যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রদেশে ভাগ করা হয়েছে। তবে আনন্দোৎসবের মাঝে বিরোধীতার সুরও বাজছে। নেপালকে ৭টি প্রদেশে ভাগ করার সিদ্ধান্তে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে সংখ্যালঘু মাধেসি সম্প্রদায়ের জনগণ। এই সম্প্রদায়টি দেশের হিন্দু চরিত্র ধরে রাখার পক্ষপাতি। সংবাদসংস্থার সূত্রের খবর, কার্ফু অমান্য করায় নেপালের দক্ষিণাঞ্চলের বীরগঞ্জ শহরে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালিয়েছে। এতে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েকজন ঘায়েল হয়েছে।
http://www.enewstime.in/?p=766
নতুন সংবিধান কার্যকর হওয়াল নেপালকে অভিনন্দন জানিয়েছে ভারত সরকার। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতবর্ষ সব সময়ই একটি যুক্তরাষ্ট্রীয়, গণতান্ত্রিক ও প্রজাতান্ত্রিক সংবিধান-এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তবে নেপালের বিভিন্ন অংশে, বিশেষত ভারতের সাথে সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়মিত চলতে থাকা হিংসাত্মক ঘটনায় ভারত সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হিংসার বাতাবরণ সরিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উপর ভারত গুরুত্ব দিয়েছে।