শেয়ার বাজারে সোমবার ধস নামার পর, সকলেই বেশ চিন্তিত। মঙ্গলবার তা-ও যেন বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চিনা চিন্তায় এখন বাজারে অনিশ্চয়তা। খুচরো শেয়ার লগ্নীকারীরা পড়েছেন মহা ফাঁপড়ে। অবশ্য শেয়ার বিশেষজ্ঞরা অভয় দিচ্ছেন। ডেস্টিমানি সিকিউরিটিস-এর বিশেষজ্ঞ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বলছেন, বাজারে ধস দেখে ভাল কোম্পানির শেয়ার যেন কেউ বিক্রি না করেন। বরং এই সুযোগে শেয়ার কেনা ভাবা উচিত। সুদীপবাবুর ধারণা, এবারের শেয়ার বাজারে ধস ২০০৮ সালের মতো ভয়ংকর নয়। দেশের অর্থমন্ত্রীও এই ধরনের আশ্বাস দিয়েছেন। কাজেই যেসব কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল মজবুত, সেই সব শেয়ার কিনলে আখেরে লাভ হবে। তবে এক লপ্তে বেশি শেয়ার না কেনা উচিত। সুদীপবাবু মারুতি সুজুকি, অশোক লেল্যান্ড কেনার পক্ষপাতি।
এই টলমল বাজারে কোন কোন শেয়ার কেনা যেতে পারে? শেয়ারখান সংস্থার গৌরব রত্নাপারখি এবং অন্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সেঞ্চুরি টেক্সটাইল, এক্সাইড ইন্ডাস্ট্রিজ, এলআইসি হাউসিং ফিনান্স, কানাড়া ব্যাঙ্ক। তবে এগুলির ক্ষেত্রে মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদি সময়ের জন্য লগ্নী করাই উচিত। এও মনে রাখতে হবে, একবারে বেশি সংখ্যায় শেয়ার না কিনে, অল্প অল্প করে কেনাই উচিত হবে।
বুধবার, ২৬ আগস্ট ভারতীয় শেয়ার বাজারে খুব তেজিভাব না-ও দেখা যেতে পারে। ওয়াল স্ট্রীট সূচক প্রথম দিকে বেড়েছিলো বটে, কিন্তু দিনের শেষে চিনা চিন্তায় ওয়াল স্ট্রীট সূচকের পতন হয়েছে। ফলে বুধবার ভারতীয়, এমনকী এশিয়ার শেয়ার বাজারে অস্থিরতার সম্ভাবনাই বেশি।