শেয়ার বাজারে এক সপ্তাহ আগেই রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তারপর বাজারে কিছুটা রিকভারি হয়েছে। কিন্তু আজ সকালে বাজারে তেজিভাব নেই, রয়েছে পড়তির টান। ভারত সহ এশিয়ার মূল শেয়ার বাজারগুলির সূচক রেড-জোনে। অপরিশোধিত তেলের দর কমেছে প্রায় ০.৮৪% এবং ডলার-টাকার অনুপাত বেড়েছে অর্থাৎ ডলার আরও মহার্ঘ হলো। সোনা-রূপার দরও বেড়েছে। সকাল ১০.৪০ মিনিটে নিফটি কোনমতে ৮০০০ লেভেলে পেরনোর চেষ্টা চালাচ্ছে, তবে এই লেভেলে রেজিস্টেন্স খুব জোরালো।
এখন এটা প্রায় সকলেই মেনে নিচ্ছেন যে, ভারতের অর্থনীতি যতই মজবুত হওয়ার কথা প্রচার করা হোক না কেন, চিনা অর্থনীতি শ্লথ হওয়ায় ভারতীয় অর্থনীতিও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে, এমবিট ক্যাপিট্যাল সংস্থা মনে করছে চলতি বছরের শেষ দিকে সেনসেক্স ২২ হাজারের নিচেও নামতে পারে। এই সংস্থার মতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জি ডি পি ৬.৮ শতাংশের বেশি হবে না। চিনা মুদ্রার অবমূল্যায়নের অনিশ্চয়তা পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বাড়ানোর সম্ভাবনার জোড়া দংশনে ভারতীয় প্রবৃদ্ধির গল্পও তেমন সমধুর হবে না। ভারতীয় রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রের অবস্থা মোটেই সুবিধার নয় বলে এমটেক ক্যাপিট্যাল জানিয়েছে। এর ফলে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রও মার খেতে পারে। রিয়েল এস্টেট এবং ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের শেয়ার সম্পর্কে সাবধান থাকতে এমটেক সংস্থা পরামর্শ দিয়েছে।
শেয়ার বাজার আগামী ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ পর্যন্ত অনিশ্চিত থাকবে বলে মনে করছে প্রভুদাস লীলাধর সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। ঐদিনই মার্কিন ফেড রিজার্ভের সুদের হার বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানা যাবে। এই সিদ্ধান্তের প্রত্যক্ষ প্রভাব ভারতীয় শেয়ার বাজারে পড়বে। এমতাবস্থায় একটু বুঝে শুনে মাঝারি মেয়াদের জন্য ‘ভারত ফোর্জ’, গ্লেনমার্ক ফার্মা, জুবিল্যান্ট লাইফ-এর শেয়ার কেনা যেতে পারে। এছাড়াম ‘এল এন্ড টি’, ‘এইচ ডি এফ সি ব্যাঙ্ক’, ‘মারুতি সুজুকি’ ইত্যাদি কোম্পানিতেও বিনিয়োগ করা যেতে পারে।
- শেয়ার পরামর্শ অনুযায়ী শেয়ার কেনা-বেচা করে লাভ-লোকসানের দায় প্রোমাস বা প্রোমাস সাইটের এডিটর বা সংস্থার সাথে যুক্ত কোন ব্যক্তি /সদস্য দায়ী নয়।