Pro-mass News Bureau: Oct 15, 2015:
নিতি আয়োগ সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীদের উপ-গোষ্ঠীর স্বচ্ছ ভারত বিষয়ক প্রতিবেদনে স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে সফল করতে গুচ্ছ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতা অভিযানের প্রচার কৌশল রচনা, অর্থ বরাদ্ধ, ছাত্রছাত্রীদের স্বচ্ছতা বিষয়ে উৎসাহী করে তোলা, কর্পোরেট সংস্থার সামাজিক দায়বদ্ধতার অর্থ স্বচ্ছতা অভিযান ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিবেদনে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। (http://www.enewstime.in/?p=930)
প্রতিবেদনে বলা হয়, শৌচালয় নির্মাণ ও উন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক কাজ সেরে ফেলার পুরোনো অভ্যাস পরিবর্তন – প্রচারকে দুটি বিষয়কেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, শৌচালয়ের ব্যবহার বৃদ্ধি, প্রকাশ্যে শৌচকর্ম মুক্ত গ্রামের লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় স্তরেই পেশাদার সংস্থাকে যুক্ত করে এই কর্মসূচির জন্য কৌশল নির্ধারণ, রূপায়ণ পদ্ধতি ও কাজের অগ্রগতির ওপর নজর রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন নিয়ে প্রচারের জন্য তহবিলের বরাদ্দ ২৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। (http://www.enewstime.in/?p=930) পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রচারের কাজে রাজনীতি ও সমাজের অগ্রগণ্য ব্যক্তিত্ব ও বিখ্যাত মানুষদের কাজে লাগাতে হবে। স্কুলের পাঠ্যসূচিতে ‘স্বচ্ছ ভারত’ বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সচেতনতা বিষয়ে প্রচারের জন্য ছাত্রদের নিয়ে ‘স্বচ্ছতা সেনানী’ নামে দল গড়া যেতে পারে। দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচিতে এ বিষয়ে আই.টি.আই. ও পলিটেকনিকগুলিতে কোর্স চালু করা যেতে পারে। এমনকি, পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য পরিচালন বিষয়ে গবেষণার জন্য উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়া যেতে পারে।
অর্থ বরাদ্দ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে প্রস্তাব করা হয় যে, কর্মসূচির ব্যয় নির্বাহের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ৭৫ শতাংশ ও রাজ্য সরকারকে ২৫ শতাংশ অর্থ দিতে হবে। পার্বত্য রাজ্যগুলির জন্য এই অনুপাত ৯০ : ১০ করা যেতে পারে। পেট্রোলজাত সামগ্রী ও টেলিকম পরিষেবা এবং কয়লা, অ্যালুমিনিয়াম ও লৌহ আকরের খনি থেকে জমা হওয়া বর্জ্যের পরিমানের ওপর সেস্ বসানো যেতে পারে, কেন্দ্রের মতো রাজ্য স্তরেও ‘স্বচ্ছ ভারত কোষ’ গঠন করা যেতে পারে।
কর্পোরেট সংস্থার সামাজিক দায়িত্ব বাবদ অর্থ যে রাজ্যে এই সব সংস্থা রয়েছে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যে ব্যয় করা যেতে পারে। চতুর্দশ অর্থ কমিশন থেকে প্রাপ্ত অর্থ ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’-এর কাজের জন্য স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে দেওয়া যেতে পারে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি স্বচ্ছ ভারত বন্ড ছাড়তে পারে। এই কর্মসূচির সাফল্যের জন্য প্রযুক্তি খুঁজতে ন্যাশনাল টেকনিকাল বোর্ড স্থাপন করা যেতে পারে। বর্জ্য থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে মূল নীতি তৈরি করা প্রয়োজন। বর্জ্য থেকে কম্পোস্ট সার তৈরির উদ্যোগে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বেসরকারি ক্ষেত্রে এই ধরনের উদ্যোগে কর ছাড় দেওয়া যেতে পারে। কঠিন ও তরল বর্জ্য পরিচালন ব্যবস্থার ওপর আরও জোর দিতে হবে।
বস্তি এলাকায় বায়ো-টয়লেট বা জৈব শৌচালয় নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। জনসাধারণের জন্য নির্মিত সাধারণ শৌচালয়গুলির দেখভালের দায়িত্ব পঞ্চায়েত সংস্থার হাতে দিতে হবে। শহরে ‘পে অ্যান্ড ইউজ’ মডেলে একাজ করা যেতে পারে। যে কোনও স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থার নির্বাচন প্রার্থীর বাড়িতে শৌচাগার থাকা বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। (http://www.enewstime.in/?p=930) বায়ো-মেডিকেল বর্জ্য এবং ই-বর্জ্য সহ সমস্ত রকমের বর্জ্য পরিচালন সংক্রান্ত আইনগুলিকে কঠোর করা দরকার। কাগজ কুড়িয়েদের বর্জ্য পরিচালনের কাজে যুক্ত করা যেতে পারে।
হাতে করে ময়লা নিষ্কাশনের কাজ সংশ্লিষ্ট আইন মেনে বন্ধ করতে হবে। স্বচ্ছ ভারতের কাজের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক রেটিং চালু করা যেতে পারে সর্বস্তরে। প্রতি মাসের একটি নির্দিষ্ট দিনকে এবং প্রতি বছরের ২ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহকে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর জন্য চিহ্নিত করে বিভিন্ন সংস্থাকে তাদের কাজের জন্য পুরস্কৃত করা যেতে পারে। (http://www.enewstime.in/?p=930) নিতি আয়োগকে এই অভিযানের জন্য আন্তঃবিভাগীয় ক্ষেত্রের সাধারণ মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশকে প্রকাশ্যে শৌচকর্ম মুক্ত করতে সমস্ত মন্ত্রক ও রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে পরামর্শক্রমে নিতি আয়োগকে একটি এ সংক্রান্ত মূল্যায়ন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিবেদনে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।