
ProMASS News Bureau: Aug 28, 2016: গুজবে কান না দিয়ে, নিজেদের বিচারবুদ্ধি ও প্রশাসনের উপর আস্থা রেখে ত্রিপুরার জনগণ দ্রুত স্বাভাবিক জীবন ছন্দে ফিরে আসছে। গত ২৩ আগষ্টের ঘটনার প্রেক্ষিতে আগরতলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আদিবাসী জনগোষ্ঠির ছাত্র-ছাত্রী এবং অন্য পেশাজীবিদের একাংশ আতংকগ্রস্থ হয়ে আগরতলা থেকে নিজেদের গ্রামের বাড়িতে ফিরে যায়। কিন্তু আতংকগ্রস্থরা আজ থেকে ধীরে ধীরে আগরতলায় ফিরে আসতে শুরু করেছে। কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে অনেক আদিবাসী ছাত্রছাত্রী নিশ্চিন্তভাবে রবিবার প্রাইভেট টিউশনে যেতে দেখা গেছে। হাটে-বাজারে আদিবাসীদের সংখ্যা দ্রুত স্বাভাবিক হচ্ছে। আগরতলা রেডিও স্টেশনের খবরে জানা গেছে, আদিবাসীদের আগরতলায় ফিরে আসার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন পশ্চিম জেলার ডিএম মিলিন্দ রামটেক।
উল্লেখ্য, আজ বিকেলে আগরতলায় বামফ্রন্টের উদ্যোগে একটি শান্তি মিছিল শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে। মিছিলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে লাগাতর রাজনৈতিক লড়াই চালানোর পাশাপাশি শান্তির পক্ষে জোরালো শ্লোগান শোনা গেছে।
লালবাহাদুর ক্লাব সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ী সুমন দেববর্মা জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের প্রয়াস এবং স্থানীয় নাগরিকদের সদিচ্ছায় আদিবাসীদের মন থেকে আতংক দূর হয়েছে। অভয়নগরের বাসিন্দা রানু দেববর্মাও একই সুরে কথা বলে জানালেন, আরক্ষা প্রশাসনের সক্রিয়তা এবং আগরতলা তথা সারা রাজ্যের জনগণের আন্তরিক প্রয়াসে বিভেদকামী শক্তির ষড়যন্ত্র বিফল হল, ফিকে হয়ে এল ২৩ আগষ্টের ক্লেদাক্ত বিকেলের ঘটনা-পরম্পরা।

গত ২৩ আগষ্ট পরবর্তী সময়ের ঘটনাবলীর উপর আলোকপাত করে রানু দেববর্মা বলেন, জাতি-উপজাতির ঐক্য, সম্প্রীতির পরিমন্ডলে বিষ ছড়ানোর জন্য ফেসবুক, ওয়াটস্ আপ ইত্যাদি নানা মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হয়। প্রাথমিকভাবে শহরাঞ্চলে বসবাসকারি গ্রামের আদিবাসীরা এতে আতংকিত হয়ে গ্রামে ফিরে যাবার চেষ্টা শুরু করে। সেসময় আরক্ষা প্রশাসন ঐসব পরিবারকে এসকর্ট করে নিজেদের গ্রামে পৌঁছে দিয়ে আসে। তবে বিগত কয়েকদিনে নানা প্ররোচনা সত্ত্বেও জাতি-উপজাতি অংশের জনগণের সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত ছিল এবং কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নি। রাজ্য প্রশাসনের দৃঢ়তা এবং জনগণের প্রয়াসের মিলিত শক্তির কাছে হার মানতে বাধ্য হল বিভেদকামীদের ষড়যন্ত্র, চেনা ছন্দে আন্দোলিত হতে শুরু করেছে আগরতলা তথা রাজ্যের শ্যামলী পরিমন্ডল।