চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে নানা মুনির নানা পরামর্শ। কেউ কেউ বলছেন মাথায় কাটা পেঁয়াজ ঘষলে নাকি চুল পড়ার সমস্যা দূর হতে পারে। পেঁয়াজে প্রচুর সালফার থাকে। চুলের গোড়া মজবুত করতে সালফার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আর চুলের গোড়া যদি শক্ত হয়, তাহলে তো চুল পড়ার মূল কারণই দূর হয়। কিভাবে পেঁয়াজের সালফার মাথার চুলে ট্রান্সফার করবেন?
এক টুকরো পেঁয়াজ কেটে মিনিট দশেক মাথায় ঘষতে হবে। তারপর ভালো করে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। শ্যাম্পু করবেন কিনা, সেটা আপনার নিজের সিদ্ধান্ত, তবে শ্যাম্পু না করে, মাথা ভালো করে ধুয়ে নিলেই পেঁয়াজের গন্ধ পালাবে। অবশ্যই মাথা জোরে ঘষবে না, কখনোই।
আর যদি এরমধ্যেই ‘স্মৃতিটুকু থাক” অবস্থা, মানে টাক পড়ে গেছে – তা হলে একটু কষ্ট করতে হবে। বাজার থেকে যষ্ঠিমধু’র শিকড় আর কিছুটা জাফরান কিনে আনুন। যষ্ঠিমধুর শিকড় বেটে নিতে হবে। তারপর এক চামচ পরিমান বাটা শেকড় মেশাতে হবে এক কাপ দুধের সঙ্গে। এই মিশ্রণে কিছুটা জাফরানও ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর টাক-এ মিশ্রণটির প্রলেপ ভাল করে লাগাতে হবে। প্রলেপ শুকোলে ঐ প্রলেপ নিয়েই ঘুমিয়ে পড়ুন। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার, পারলে দুবার এটা করে দেখতে পারেন টাকে চুল গজায় কিনা।
অনেকে বলেন, রোজমারি তেল ব্যবহারে নাকি চুল পড়ার সমস্যা দূর হয়। আবার চা গাছের তেলও পাওয়া যায়। চা গাছের বিশুদ্ধ তেল মাখলে উপকার হয় – কেউ কেউ এমনটাও দাবি করেছেন।
যা-ই করুন না কেন, ভিটামিন বি-কমপ্লেকস কিংবা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদির ঘাটতি থাকলে চুল পড়া বন্ধ করা মোটেই সহজ কাজ নয়। কাজেই চুল পড়া রোধে খাদ্যাভ্যাসেই লুকিয়ে আছে আসল সমাধান।(সংগৃহীত)
(লেখাটির দায়ভার প্রোমাস কর্তৃপক্ষ বা ওয়েবসাইটের এডমিন-এর নয়)