Mar 24,2017:
বাস্তবমুখী পরিকল্পনা মধ্য দিয়ে ব্যবসা বানিজ্যের সম্প্রসারন ও উন্নয়নের পাশাপাশি খেলাধূলা, সংস্কৃতির আদান প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি বলেন, এই সব ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হলেই এ্যাক্ট ইষ্ট পলিসির আওতায় গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচীগুলির সঠিক রূপায়নের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি আরও বেশি করে উপকৃত হবে। সেদিক দিয়ে বিমস্টেক অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক সংহতি আরও মজবুত হবে। বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। তবে এর আগে অবশ্যই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমানে যে সমস্ত অমীমাংসিত ইস্যুগুলি রয়েছে সেগুলি দ্রুত সমাধানের জন্য উভয় দেশকে গঠনমূলক উদ্যোগ নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাভবনে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স-এর উদ্যোগে এবং ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের সহযোগিতায় দি বে অব বেঙ্গল ইনিসিয়েটিভ ফর মাল্টি সেকটোরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকনোমিক কো-অপারেশন (বিমস্টেক)-এর ইন্টিগ্রেটিং বিমস্টেক ইন্টার প্লে অব ওভারলেপিং সাব রিজিওন্যাল ফোরামস ইন সাউথ এন্ড সাউথ ইষ্ট এশিয়া শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
সম্মেলনের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আক্ষরিক অর্থেই এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে। তা না হলে এই ধরনের সেমিনারের কোন অর্থেই থাকবে না। এটাকে আরও উপযোগী করে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ভারত সরকারের ডোনার মন্ত্রণালয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা জনগনকে জানাতে হবে।মুখ্যমন্ত্রী শ্রীসরকার এই সেমিনারের সাফল্য কামনা করেছেন এবং রাজ্যে এর আয়োজনের জন্য উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান।
সেমিনারে ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব (বিমস্টেক ও সার্ক), ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বানিজ্য দপ্তরের প্রধান সচিব এম নাগারাজু, বিমস্টেক সচিবালয়ের অধিকর্তা কুনজেং শেরিং (ভুটান), থাইল্যান্ডের চুলালাংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের কার্যকারী অধীকর্তা সুতিফন্দ চিরাথিবাত , রিজিওন্যাল সেন্টার ফর স্ট্রেটেজিক স্টাডিজ (শ্রীলঙ্কা)-এর কার্যকারী অধিকর্তা প্রফেসার ইমতিয়াজ আহমেদ, আই সি সি এর এক্ট ইস্ট পলিসি এর চেয়ারম্যান রজত নাগ, আই সি সি-এর প্রাক্তন সভাপতি রূপেন রায় প্রমুখ বিমস্টেক এলাকার অর্থনৈতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি উন্নয়নের উপর জোর দিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের হাতে স্মারক উপহার তুলে দেওয়া হয়। বিমস্টেকভুক্ত বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও থাইল্যান্ড এই সাতটি দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সংহতির লক্ষ্যে আয়োজিত এই ধরনের সেমিনার এর আগে গুয়াহাটি, শিলং ও ইম্ফলে আয়োজিত হয়েছে।