July 11,2017: আসামের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ব্রক্ষপুত্র সহ অন্যান্য নদীকুলির জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং নতুন নতুন এলাকায় জল ঢুকছে। সাম্প্রতিক বন্যায় রাজ্যের কুড়িটি জেলায় ১২ লক্ষেরও বেশী মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল গতকাল মরিগাঁও জেলার লাহরীঘাট রাজস্ব চক্রের কয়েকটি বন্যাক্রান্ত অঞ্চল পরিদর্শন করে সর্বশেষ পরিস্থিতির খৌঁজ নেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গতকাল জলসম্পদ মন্ত্রী কেশব মহন্ত ও ছিলেন।
এবারের বন্যায় করিমগঞ্জ জেলায় এখনও পর্যন্ত ৬০হাজার ৭শ ৪৮জন লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং জেলায় ৬১টি ত্রান শিবির খোলা হয়েছে। এবারের বন্যায় করিমগঞ্জে ৪৩টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জেলার পূর্ত বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।এদিকে শিলচরের সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে যে আজ সকাল সাতটায় অন্নপূর্ণাঘাটে বরাক নদীর জল বিপদসীমার ৫৫সেন্টিমিটার নীচে প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে জল প্রতি ঘন্টায় দুই সেন্টিমিটার করে কমছে। করিমগঞ্জ কুশিয়ারা নদীর জল বিপদসীমার ৩৮সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এখন ও জল প্রতি ঘন্টায় এক সেন্টিমিটার করে কমছে। এদিকে ধলাইতে রুকনী নদীর জল বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ঘন্টায় কুড়ি সেন্টিমিটার করে এখানে জল বাড়ছে।
করিমগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি সরজমিনে প্রত্যক্ষ করতে রাজ্যের পূর্ত,আবগারী ও মৎস বিভাগের মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য আজ করিমগঞ্জ পৌছে তিনি জেলার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এক বৈঠকে মিলিত হবেন। এছাড়া তিনি বন্যাক্রান্ত বিভিন্ন এলাকাও পরিদর্শন করবেন। (AIR NEWS)