আগরতলা পুর এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নে মাষ্টার প্ল্যান তৈরী হচ্ছে : নগর উন্নয়নমন্ত্রী
Mar 16,2017: আগরতলা পুর এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে মাষ্টার প্ল্যান তৈরী করার প্রক্রিয়া চলছে। নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মানিক দে আজ বিধানসভায় প্র্র্শ্নোত্তর পর্বে বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায়ের প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য জানিয়েছেন। বিষয়ে নগরোন্নয়ন মন্ত্রী আরও জানান, মাষ্টার প্ল্যান তৈরী হওয়ার পর পরীক্ষা –নিরীক্ষা করে অর্থের সংস্থান পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, আগরতলা শহরের সামগ্রিক উন্নয়নে পরিকল্পনা নিয়েই কাজ হচ্ছে। রাস্তাঘাট, বিভিন্ন পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে।
অন্যদিকে আগরতলা শহরের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার সংক্রান্ত বিষয়ে বিধায়ক শ্রীরায়ের অপর প্রশ্নের উত্তরে নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মানিক দে জানান, আগরতলা শহরের আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য ৩৬টি ছোট গাড়ি ও ৪৬টি বড় গাড়ি কাজ করে থাকে। বর্তমানে আগরতলা শহরের ময়লা-আবর্জনা দেবেন্দ্র চন্দ্র নগরস্থিত বর্জ্য প্রক্রিয়াকরন ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্টে ফেলা হচ্ছে। আগরতলা শহরের বটতলা, গোলবাজার ও লেইক চৌমুহনী বাজারের ময়লা পরিষ্কারের জন্য গাড়ীগুলির নিদিষ্ট সময় আছে বলে নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন।
*****************************
রাজ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৭৭২ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দেবার কাজ শেষ: বাদল চৌধুরী
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে রাজ্যের মোট ৮৬২.৯২ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেবার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রকের পক্ষ থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭৭২.৫৫৯ কিলোমিটার বেড়া দেবার কাজ সম্পন্ন অবশিষ্ট ৯০.০৩৬৫ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দেবার কাজ চলছে-আজ রাজ্য বিধানসভায় বিধায়ক দিবাচন্দ্র রাঙ্খল এবং বিশ্ববন্ধু সেনের আনা একটি দৃষ্টি আকর্ষনী নোটিশের জবাবে রাজস্বমন্ত্রী বাদল চৌধুরী এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, এখন উত্তর ত্রিপুরা জেলার ১৩.২৮৬ কিলোমিটার, ঊনকোটি জেলার ১,১৩৬ কিলোমিটার, ধলাই জেলার ৫১,৬৭০কিলোমিটার, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ০.৫০০ কিলোমিটার, খোয়াই জেলার ০.৭৪৪ কিলোমিটার, সিপাহীজলা জেলার ৭,২০৫ কিলোমিটার, গোমতী জেলার ৫,৯২৬ কিলোমিটার এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার ৯,৮৭৩ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দেবার কাজ চলছে।
রাজস্বমন্ত্রী জানান, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেবার ফলে ৮৭৩০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরমধ্যে ৪৫৩৩টি পরিবার বেড়ার বাইরে ছিলেন। এখন পর্যন্ত মোট ৮৫৭৬টি পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। সিপাহীজলা জেলায় অবশিষ্ট ১৫৪টি পরিবারকে পুনর্বাসন দেবার কাজ চলছে।
*********************************************