Agartala, October 01, 2019:
সেই ঘর। সেই খাট। সেই টেবিল। এবং সেই রেডিও! আজও আছে। একই রকম। মহালয়ার ভোরে ওই রেডিয়ো খোলা হয়। গোটা বাড়ি জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে, বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর…!’
মহালয়ার সকালে মহিষাসুরমর্দিনীর কিংবদন্তি রূপকার বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর বাড়িতে আজও যেন ফিরে আসে অতীত! রামধন মিত্র স্ট্রীটের ওই গলিতে পা দিলে সময় যেন পিছিয়ে যায় হু-হু করে।মহিষাসুরমর্দিনী যখন সরাসরি রেডিওতে সম্প্রচার হত, তখন রাত দুটোর সময় গাড়ি আসত রেডিও অফিস থেকে। পরে যখন রেকর্ডিং প্রচার করা শুরু হল, তখনও ওই সময়টায় রেডিয়ো অফিসে চলে যেতেন তিনি। তবে শেষদিকে আর যেতে পারতেন না।আর একবার রেডিও অফিসে যাননি তিনি।

সেটা ছিল ১৯৭৬ সাল। রেডিয়ো সে বার মহিষাসুরমর্দিনী প্রচারিত হয়নি। হয়েছিল, ‘দুর্গা দুর্গতিহারিণী’।করেছিলেন উত্তমকুমার।সেই প্রথম আর সেই শেষ। বাঙালী মেনে নেই নি সেই পরিবর্তন।প্রবল বিক্ষোভে ও চাপে ষষ্ঠীর সকালে আবার রেডিও বাজাতে বাধ্য হয়েছিল মহিষাসুরমর্দিনী।পরের বছরই আবার স্বমহিমায় ফিরে আসেন মহিষাসুরমর্দিনীর সর্বকালজয়ী অন্যতম রূপকার বীরেন্দ্রকৃষ্ণ।
তাঁর জিনিসপত্র, ছবি অনেক কিছুই হারিয়ে গিয়েছে আজ। হারায়নি শুধু স্মৃতি। আজও মহালয়ার সকালে বেজে ওঠে রেডিও। তাঁরই ঘরে তাঁর খাটের পাশে বসে মহালয়া শোনেন তাঁর অশীতিপর বড় মেয়ে সুজাতা ভদ্র। বলাবাহুল্য বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের জন্য আমরা মহালায়া দিনটির স্বাদ নিতে পারি।
Courtesy: (Collected from Indranil Chatterjee’s FB post)