Paramita Gharai
September 03, 2019: ইঁদুর বাবাজী শেষ লাড্ডুটা চিবিয়ে সবেমাত্র চোখ বুজেছে , ঠিক সেই সময়ই ঢ্যাং ঢ্যাং করে কাঁসর ঘন্টা বেজে উঠল। তার সঙ্গে ড্যাং ড্যাং শব্দে ঢাকও বেজে উঠল। পেট পুরে খেয়ে দেখে গণেশ ঠাকুরও ঝিমোচ্ছিলেন। হট্টগোলে সেই ঝিমুনি কেটে গেল। কোমর সোজা করে চারহাত টান করে ঠিকঠাক ‘পোজ’ নিয়ে দাঁড়ালেন। চোখ পিটপিট করে দেখলেন প্যান্ডেল ফাঁকা। এককোনে পেডিষ্ট্রিয়াল ফ্যান চালিয়ে এক চেয়ারে বসে আর এক চেয়ারে ঠ্যাং তুলে একটা ছোকরা মন দিয়ে ফোন ঘেঁটে যাচ্ছে। বাজনদাররা কোনো কারণ ছাড়াই বাজনা বাজিয়ে ঝিরঝিরে বৃষ্টির দুপুরটাকে সরগরম করছে।
গণেশ বিরক্ত হয়ে ইঁদুরের দিকে তাকালেন। বললেন,” পশ্চিমবাংলার লোকেরা এখন কেন ডাকে বলতো? আর ক’দিন পরে তো মায়ের সঙ্গে আসতেই হবে । ”
ইঁদুর বাবাজী উত্তর দিল,”’এখন মহারাষ্ট্র ভালো। এখানে তেমন আদর যত্ন ও নেই। মাতামতিও কম। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে কেমন ঘুম পেয়ে যাচ্ছে ।”
গণেশ বললেন, ” চল তবে মুম্বাইতেই চল। ওখানে নাচগান ভিড়ভাট্টার মধ্যে একটু মস্তি করে আসি ”
গণেশ ঠাকুর আর ইঁদুর বাবাজী কাঠামো থেকে বেরিয়ে মুম্বাই রওনা হল। কাঁসর-ঘন্টা-ঢাকের শব্দের মাঝে নির্জীব মূর্তি শূন্য দৃষ্টি নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো …